জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইমন নামে এক কর্মী নিহতের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত টানা অভিযান চালিয়ে বায়েজিদের আরেফিন নগর মুক্তিযোদ্ধা কলোনি থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন— মো. রুবেল (২৫), মো. সোহেল (২৯), মো. লিটন (২৮), মো.ফজর আলী (২৯), মো. আহসান কবির (২৬) ও মো. আহসান কবির (২৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বায়েজিদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘গতকাল দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
নিহত ইমন প্রবাসী যুবলীগ নেতা এস এম শফিকুল ইসলাম শফির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তিনি সম্প্রতি ঘোষিত বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগের পাল্টা কমিটির সদস্য।
এদিকে হামলাকারীরা পলিটেকনিক এলাকার যুবলীগ নেতা আবু মহিউদ্দিনের অনুসারী। তবে নগর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শফি ও আবু মহিউদ্দিন উভয়ই সাবেক সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত ইমনের ছোট ভাইকে মারধরের জের ধরে রাতে আরেফিন নগর মুক্তিযোদ্ধা কলোনি এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় হামলাকারীরা প্রকাশ্য ইমনকে ছুরিকাঘাত করে।
উল্লেখ্য, গতকাল (রবিবার) রাত ১০টার দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ালে ইমন (২৭) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।।ইমনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।