জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০ রোগীর মৃত্যু ও নতুন ৩০১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৫৩৫ জন।
আজ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে জানা যায়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৯১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৩০১ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৬১ জন ও ১৩ উপজেলার ১৪০ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ৩৬ জন, হাটহাজারীতে ২৪ জন, সাতকানিয়ায় ২০ জন, ফটিকছড়িতে ১৫ জন, আনোয়ারায় ১০ জন, লোহাগাড়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশে ৮ জন করে, সীতাকু-ে ৫ জন, পটিয়ায় ৩ জন, রাঙ্গুনিয়া, মিরসরাই ও বাঁশখালীতে ১ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৯৬ হাজার ৫০৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭০ হাজার ৬৪৩ জন ও গ্রামের ২৫ হাজার ৮৬০ জন।
করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহরের ২ ও গ্রামের ৮ রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ১৬৬ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৬৬৪ জন ও গ্রামের ৫০২ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫৩৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৬৪ হাজার ১৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯ হাজার ২০৫ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় আরোগ্য লাভ করেন ৫৪ হাজার ৮১০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হয়েছেন ৩১৬ জন এবং ছাড়পত্র নেন ২৭১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৯২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫২ ও গ্রামের ৫৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৯৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৩০ ও গ্রামের ৯ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৪১ টি নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ২২ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২০ জন ও গ্রামের ৪৫ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে।
নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ১৩ টি নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ২ টির পজেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৯ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ টিসহ ১২ টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২ টি নমুনায় শহরের ৩ ও গ্রামের ২ টিতে, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ল্যাবে ২২ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ ও গ্রামের ১ টি এবং এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ৮৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১৬ ও গ্রামের ৩ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
চট্টগ্রামের ৮ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবক’টিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
তবে এদিন নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথে এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। শেভরনেও কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিআইটিআইডি’তে ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চমেকে ১৩ দশমিক ০৪, সিভাসু’তে ১৭ দশমিক ৪২, চবিতে ৩২ দশমিক ৫০, আরটিআরএলে ৪৬ দশমিক ১৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৫৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ দশমিক ৬২, মেডিকেল সেন্টারে ৩১ দশমিক ৮২, এপিক হেলথ কেয়ারে ২১ দশমিক ৮৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।