জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাকালে সর্বনিম্ন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে ১৭ জন আক্রান্ত হয়। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর আগে সবচেয়ে কম ২১ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে ৬ ফেব্রুয়ারি। সংক্রমণ হার ছিল ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ নয়টি ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১৭ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের ১৩ জন এবং চার উপজেলার ৪ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৬৮০ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৬৪৭ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বোয়ালখালী, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৯৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৭১৫ ও গ্রামের ৫৮১ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ১৫১ জনকে। জেলায় মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৯ হাজার ৩২৮ জনে। এদের মধ্যে ৬ হাজার ৫০১ জন হাসপাতালে ও ৪২ হাজার ৮২৭ জন বাসায় চিকিৎসায় থেকে সুস্থ হয়েছেন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ১৬৭ জন। ছাড়পত্র নেন ১০২ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৩৬৫ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৮১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ২টি ও গ্রামের ২টির পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৭ ও গ্রামের ১ জনের শরীরে ভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ৫৩ জনের নমুনায় গ্রামের ১ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিরও পজিটিভ রেজাল্ট আসেনি।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ নমুনার মধ্যে শহরের ১টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫ নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৫ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ টিতে করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে। ল্যাব এইডে একটি এবং চট্টগ্রামের ৮ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হলে সবক’টির নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
এ দিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু), শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাব, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও এন্টিজেন টেস্টে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৪৯ শতাংশ, চমেকে ৪ দশমিক ৩২, চবিতে ১ দশমিক ৮৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩ দশমিক ২২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২ দশমিক ৬৬ এবং আরটিআরএলে, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।