জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে পাঁচ মাস ২০ দিন পর করোনাভাইরাসের সংক্রমিতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু এবং ১ হাজার ১৭ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণ হার ৩৩ দশমিক ০১ শতাংশ।
করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর ৮ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ৩ হাজার ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ১ হাজার ১৭ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৮০৭ ও ১৩ উপজেলার ২১০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ রাউজানে ৩৭, রাঙ্গুনিয়ায় ৩৩, আনোয়ারায় ২৮, সাতকানিয়ায় ২২, হাটহাজারীতে ১৯, বোয়ালখালী ও মিরসরাইয়ে ১৮ জন করে, ফটিকছড়িতে ১৩, বাঁশখালীতে ৯, সন্দ্বীপে ৪, সীতাকু-, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ৩ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৯ হাজার ৩৯৩ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৯ হাজার ৮৩১ ও গ্রামের ২৯ হাজার ৫৬২ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল গ্রামের একজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ৩৪৩ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭২৮ ও গ্রামের ৬১৫ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এর আগে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১ হাজার ৪৬৬ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল গত বছরের ২৯ জুলাই। সংক্রমণ হার ৩৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময়ে ৯ রোগির মৃত্যু হয়। ওই মাসে আরো তিন দিন শনাক্ত রোগি এক হাজারের বেশি ছিল।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৭৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২৪৩ জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৭৭ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১১৩ ও গ্রামের ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩৬ ও গ্রামের ২০ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২৮টি নমুনার মধ্যে শহরের ১২টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে গতকাল ২৩৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এতে গ্রামের ৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৬৮৪টি নমুনায় শহরের ৮৬ ও গ্রামের ২৫টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১১১ ও গ্রামের ২৫ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৮৪টি নমুনায় শহরের ৩০ ও গ্রামের ২৮টিতে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৮২ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৯৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১১৫টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭৯ ও গ্রামের ২ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্স হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৩২ দশমিক ৭০ শতাংশ, চমেকহা’য় ৪৬ দশমিক ৫৭, চবিতে ৪০, আরটিআরএলে ৪২ দশমিক ৮৫, এন্টিজেন টেস্টে ৪০ দশমিক ১৭, শেভরনে ১৬ দশমিক ২৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৪ দশমিক ৬০, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৪২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫৩ দশমিক ২৯ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।