জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে ৬৮ দিনের মধ্যে করোনার সংক্রমণ হার সর্বনিম্ন স্থানে নেমেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার নির্ণিত হয় ০ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ সময় নতুন ৯ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন এবং আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, নগরীর বারো ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন ৯ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৭ ও দুই উপজেলার ২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে এক জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৫১৯ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ১৩ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫০৬ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বর এর চেয়ে কম সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়েছিল। ওইদিন ১ হাজার ৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ০ দশমিক ২৭ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে সবগুলোরই নেগেটিভ আসে।
সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২১৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩ ও গ্রামের ১ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫টি নমুনার একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়নি। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৫ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলেছে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৩০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনের শরীরেও সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে একমাত্র ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১১৫ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের একজন ভাইরাসবাহক পাওয়া যায়। এ ছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩১, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৬১, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ১১৬, ল্যাব এইডে ১, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫৪, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ২৮৩ এবং এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সাত ল্যাবে পরীক্ষিত ৭৮৪ নমুনার একটিতেও করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়নি।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৩৯, চমেকহা’য় ৭ দশমিক ১৪, আরটিআরএলে ২০ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং চবি, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।