জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের হার ৭ শতাংশের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৬ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ সময়ে দু’জনের মৃত্যু হয় এবং আরোগ্যলাভ করেন ১ হাজার ১০৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর দশটি ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৪২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১০৬ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। নতুন আক্রান্ত ১০৬ জনের মধ্যে শহরের ৫৪ ও ১১ উপজেলার ৫২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ১৫, ফটিকছড়িতে ১০, সীতাকু-ে ৬, বোয়ালখালী ও মিরসরাইয়ে ৫ জন করে, চন্দনাইশে ৪, রাউজানে ৩ এবং রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৬৬৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ১২ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৬৫৪ জন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামের একজন করে মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১ হাজার ২৬৪ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭০১ ও গ্রামের ৫৬৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১ হাজার ১০৮ জন। এতে মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৫১৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১০ হাজার ১২৫ এবং বাসায় থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৬৮ হাজার ৩৯১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত ১৫৯ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১৯০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৪৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে। এখানে ৫৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩ ও গ্রামের ২৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪৬টি নমুনার মধ্যে শহরের ১৪ ও গ্রামের ১০ টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৩৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭ ও গ্রামের ৮ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের একজন ভাইরাসবাহক বলে চিহ্নিত হন। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৭টি নমুনায় শহরের ২টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে শহর ও গ্রামের একটি করে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০১ নমুনার মধ্যে শহরের ৫টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১ ও গ্রামের ২টি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৩ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৮ ও গ্রামের ৬টি এবং ল্যাব এইডে পরীক্ষিত একমাত্র নমুনাটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৯টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের ১১টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৬ দশমিক ৪৩, চমেকে ১০ দশমিক ৭৯, চবিতে ৫ দশমিক ৪৫, আরটিআরএলে ২৮ দশমিক ৫৭, শেভরনে ০ দশমিক ৫১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪ দশমিক ৯৫, মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৮৯, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৯ দশমিক ১৮, ল্যাব এইডে শতভাগ এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার রেকর্ড হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।