জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ও হার কমেছে। এ সময় করোনায় নতুন ২০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। শহর ও গ্রামে আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল নগরীর দশ ল্যাব, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ও এন্টিজেন টেস্টে ২৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। নতুন ২০ ভাইরাসবাহকের মধ্যে শহরের ১৬ ও দুই উপজেলার ৪ জন। উপজেলার মধ্যে হাটজাজারী ও সাতকানিয়ায় ২ জন করে রয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৮ হাজার ৪২৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৬১৬ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৮১০ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ২ ও গ্রামের ৩ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। বিআইটিআইডি’তে ২৭টি নমুনার মধ্যে শহরের ৬টিতে করোনার জীবাণু মিলেছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৩ নমুনায় শহর ও গ্রামের একটি করে আক্রান্ত পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২টি নমুনায় শহরের একটির রিপোর্ট পজিটিভ হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে একজনও আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেনি।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। শেভরনে ২৮ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১১ নমুনার একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়নি। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১১টি নমুনায় শহরের একটিতে জীবাণু পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫টি নমুনারই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজনের সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবরেটরিতে ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২২ দশমিক ২২, চমেকহা’য় ৮ দশমিক ৬৯, আরটিআরএল-এ ৫০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২ দশমিক ৫০, শেভরনে, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার এবং এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৯ দশমিক ০৯, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭ দশমিক ১৪ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।