চট্টগ্রামে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত ১০ জন

প্রতীকী ছবি

জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিনে নতুন ১০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৬১ শতাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, কোভিড টেস্টে চট্টগ্রাম জেলার জন্য অনুমোদিত ১৪ সরকারি- বেসরকারি ল্যাবরেটরির ১১ টিতে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১০ পজিটিভের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪ জন ও দুই উপজেলার ৬ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ১৮২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৩ হাজার ৯৪২ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ২৪০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সীতাকু-ে ৫ জন ও হাটহাজারীতে একজন রয়েছেন।

গতকাল করোনায় কোনো রোগি মারা যাননি। ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২১ জন ও গ্রামের ৬০০ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় সীতাকু-ের ৫ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৭০ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ২১ জনের নমুনার মধ্যে একজনও আক্রান্ত মেলেনি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১২ টি এন্টিজেন টেস্ট করা হলে সবক’টিই করোনামুক্ত বলে জানানো হয়।

বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ৪১৭ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭৭ নমুনায় গ্রামের একটি এবং মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৯ নমুনায় শহরের চারটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩১ নমুনা পরীক্ষায় সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।

এদিন, চট্টগ্রামের ২ টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টিতেই জীবাণু শনাক্ত হয়নি।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু), নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও বেসরকারি পরীক্ষা কেন্দ্র ল্যাব এইডে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৯১ শতাংশ, মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৫৬, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ এবং চমেকহা, চবি, এন্টিজেন টেস্ট, শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস