জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ সময়ে শহরে ও জেলায় কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরীর দশ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এদের মধ্যে ৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এতে শহরের বাসিন্দা ৮ জন ও সাতাকনিয়া উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৪৩৮ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ১২১ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩১৭ জন। গতকাল করোনায় কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এখানে শহরের ২ ও গ্রামের একজন ভাইরাস-বাহক পাওয়া যায়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯ নমুনার ৩ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৫১টি নমুনার মধ্যে একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।
এদিকে, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৪১, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৫, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১১, বেসরকারি ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৯২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০৬, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩২ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১২ টি নমুনা পরীক্ষা হয়। চট্টগ্রাম থেকে একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আট পরীক্ষাগারের মোট ৭০০ নমুনার সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এছাড়া, নমুনা পরীক্ষার বুথে ৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে এ তিনটিতেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
এদিন করোনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামের জন্য নির্ধারিত ১৪টি ল্যাবরেটরির মধ্যে শুধুমাত্র ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ দশমিক ৭৬ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং চমেকহা, চবি, সিভাসু, শেভরন, মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।