জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬ রোগির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নতুন করে ৬৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ০১ শতাংশ। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে ওঠেন ১ হাজার ১২১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ পাঠানো রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
এতে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর সাত ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে গতকাল রোববার ১ হাজার ৪৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৬৪ জনের মধ্যে শহরের ৩৮ জন এবং ১১ উপজেলার ২৬ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ৮৬৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৭৩ হাজার ১২৩ জন শহরের ও ২৭ হাজার ৭৪২ জন গ্রামের। উপজেলায় আক্রান্তদের মাঝে রাউজানে ৮, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ৪ জন করে, সাতাকানিয়া ও আনোয়ারায় ২ জন করে এবং হাটহাজারী, সীতাকু-, মিরসরাই, বাঁশখালী, পটিয়া ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহরের একজন ও গ্রামের ৫ জন মারা যান। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৭৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে ৭০৩ জন শহরের ও ৫৭১ জন গ্রামের। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে আরোগ্যলাভ করেছেন ১ হাজার ১২১ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮১ হাজার ৮৩২ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ১০ হাজার ২৩৯ ও বাসায় চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭১ হাজার ৫৯৩ জন। হোম আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ১০৬ জন। ছাড়পত্র নেন ২১ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৩৮৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ১ ও গ্রামের ৩টি জীবাণুবাহক চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩২৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১৩ ও গ্রামের ১১ জন পজিটিভ হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৪ ও গ্রামের ৭ জন করোনা চিহ্নিত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৯ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ২ ও গ্রামের ১ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৯টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৩টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৪৯টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের একটিসহ ৩টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৫টি নমুনায় শহরের ৫টি, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ১০২টি নমুনার মধ্যে গ্রামের দুইটিসহ ১০টি এবং ল্যাব এইডে ৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটি করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টারে ১০ নমুনার একটিতেও ভাইরাস চিহ্নিত হয়নি।
এদিন ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৯৫, চমেকে ৭ দশমিক ৪৩, চবি’তে ১২ দশমিক ৬৪, এন্টিজেন টেস্টে ১৫ দশমিক ৭৯, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ০ দশমিক ৮৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪ দশমিক ৭৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৯ দশমিক ৮০, ল্যাব এইডে ১৬ দশমিক ৬৬ এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।