জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর নগরীতে করোনা সংক্রমণ হার ১ শতাংশের নীচেই রয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ হার পাওয়া যায় ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এ সময়ে নতুন করে নতুন ১৩ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্তহয়। তবে করোনায় আক্রান্ত কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর এগারো ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ৪৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ১৩ জনের মধ্যে ৯ ও তিন উপজেলার ৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাইয়ে ২ জন এবং বোয়ালখালী ও হাটহাজারীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৩২ জন। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ২২ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫১০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। এতে জেলায় করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এদের মধ্যে ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩০৭ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ৫ টি নমুনায় করোনা জীবাণু পাওয়া যায়।
সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ১৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জন সংক্রমিত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৭৮ জনের নমুনায় গ্রামের ২ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩ ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৬ নমুনা পরীক্ষা করলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৬৬ জনের নমুনার মধ্যে গ্রামের ২ জন করোনায় শনাক্ত হন। এপিক হেলথ কেয়ারে ৭২ নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। এ ছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১২০, মেডিকেল সেন্টার হাসপতালে ১৩০, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৬৮, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২৬৬ এবং এভারকেয়ার হসপিটালে ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পাঁচ ল্যাবে ৬১২ জনের নমুনায় একটিতেও করোনার অস্তিত্ব মিলেনি।
এ দিন বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে স্থাপিত ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৫৪, চমেকহা’য় ২ দশমিক ৫৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ২০, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং চবি, সিভাসু, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং এভারকেয়ার হসপিটালে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।