জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার সংক্রমণ হার ২ শতাংশের নিচে নেমেছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ জন। এ সময় একজনের মৃত্যু হয় এবং ৮৮ জন আরোগ্যলাভ করেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল রোববার ১ হাজার ৫১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে নতুন ২৭ জন আক্রান্ত ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। নতুন শনাক্ত ২৭ জনের মধ্যে শহরের ২০ জন এবং পাঁচ উপজেলার ৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে রাউজান ও ফটিকছড়িতে ২ জন করে এবং সীতাকুন্ড, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১ হাজার ৩১২ জন। এর মধ্যে শহরের ৭৩ হাজার ৪০৭ ও গ্রামের ২৭ হাজার ৯০৫ জন।
গতকাল চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত গ্রামের এক রোগি মারা গেছেন। মোট মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ২৮২ জন হয়েছে। এদের মধ্যে শহরের ৭০৮ ও গ্রামের ৫৭৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮৮ জন। মোট আরোগ্যলাভকারীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ২৫৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ১০ হাজার ৪২৬ জন এবং হোম আইসোলেশেনে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৭৫ হাজার ৮৩১ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ৭৭ জন এবং ছাড়পত্র নেন ১০১ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৮৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৬৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের ৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭৬ জনের নমুনায় শহরের ৪ জন ও গ্রামের ১ জনের মধ্যে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৮ জনের মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ জন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৮৬ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ১ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়। জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৩টি নমুনাই নেগেটিভ শনাক্ত হয়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭০ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৫টি, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৯ নমুনায় শহরের ৩টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। মেডিকেল সেন্টারে ২৭ টি ও ল্যাব এইডে পরীক্ষিত ৪ টি নমুনার সবক’টির নেগেটিভ আসে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের একমাত্র নমুনাটির রেজাল্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স বিশ^বিদ্যালয় ও আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ০৮ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৮৪, চবি’তে ১৩ দশমিক ১৬, এন্টিজেন টেস্টে ১ দশমিক ১৬, শেভরনে ০ দশমিক ৩৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২ দশমিক ৯৪, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ৭৯ এবং আরটিআরএল, মেডিকেল সেন্টার, ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।