জুমবাংলা ডেস্ক: সংখ্যা ও হারে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬২ জন সংক্রমিত হন। আক্রান্তের হার ৩৫ দশমিক ০২ শতাংশ। এ সময়ে ৯ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। একই সাথে জেলায় মোট আক্রান্ত ৬১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজসহ এগারোটি ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৮৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ৬৬২ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৪৯ জন এবং চৌদ্দ উপজেলার ২১৩ জন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৬১ হাজার ৫৮৯ জন। এর মধ্যে শহরের ৪৭ হাজার ৮৩৯ জন এবং গ্রামের ১৩ হাজার ৭৫৯ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ সীতাকু-ে ৪১ জন, মিরসরাইয়ে ৩৮ জন, ফটিকছড়িতে ৩২ জন, হাটহাজারীতে ২১ জন, রাউজানে ২০ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১৩ জন, লোহাগাড়া ও বোয়ালখালীতে ১০ জন করে, বাঁশখালীতে ৯ জন, পটিয়ায় ৮ জন, আনোয়ারায় ৬ জন, চন্দনাইশ ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং সাতকানিয়ায় ১ জন।
গতকাল করোনায় শহরের ২ জন ও গ্রামের ৭ জনের মৃত্যু হয়। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িযেছে ৭৩১ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৮৪ জন ও গ্রামের ২৪৭ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৪৯ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৫০ হাজার ১৯৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৭২৮ জন ও ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৪৩ হাজার ৪৬৯ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৬৯ জন ও ছাড়পত্র নেন ১৬২ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৫৯৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ৫২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ১৪৫ জন ও গ্রামের ৭১ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৮ জনসহ ৪৯ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২৯ ও গ্রামের ২৩ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৯টি নমুনায় শহরের ২৩ ও গ্রামের ১৮ টিতে করোনাভাইরাস চিহ্নিত হয়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৪৪টি নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৫ টিসহ ২৮ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ৪২১ জনের এন্টিজেন টেস্টে শহরের ৫৬ ও গ্রামের ৬৯ জনকে আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৫৫টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩৫ ও গ্রামের ১২টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০৫ নমুনার মধ্যে গ্রামের ৪ টিসহ ৪৬টি, মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৬৫টি নমুনায় শহরের ১৯টি, মেডিকেল সেন্টারে ১৪ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭টি এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৩৮ নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ৩০ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এদিন কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮১টি নমুনা পাঠানো হয়। পরীক্ষায় দু’টির পজিটিভ এবং অবশিষ্ট সবগুলোর রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪১ দশমিক ৪৬, চমেকে ৩৫ দশমিক ২৫ শতাংশ, সিভাসু’তে ৪০ দশমিক ৬১, চবি’তে ৫১ দশমিক ৯০, আরটিআরএল-এ ৬৩ দশমিক ৬৩, এন্টিজেন টেস্টে ২৯ দশমিক ৬৯, শেভরনে ১৮ দশমিক ৪৩, ইম্পেরিয়ালে ৪৩ দশমিক ৮১, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯ দশমিক ২৩, মেডিকেল সেন্টারে ৫০ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৭৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।