জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় ছেলেধরা সন্দেহে মো. মুমিন (২০) নামে এক যুবককে গণপি’টুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেললাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর ইউএনবি’র।
গণপিটুনির শিকার মুমিন পৌর এলাকার উত্তর মিরের খিল গ্রামের খন্দকার পাড়ার আবদুস শুক্কুরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে উত্তেজিত জনতার গণপি’টুনি খেয়ে ওই যুবক নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দূরে আব্বাছিয়ার পুল এলাকার পালিয়ে আসে। এ সময় স্থানীয় জনতা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. রিদুয়ান জানান, গণপি’টুনিতে যুবকের মাথার বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। এরই মধ্যে ওই যুবক কয়েকবার বমিও করেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা হাটহাজারী মডেল থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, রাত ১১টার দিকে পৌর এলাকার চন্দ্রপুর গ্রামের মাটিয়া মসজিদ এলাকায় চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেল লাইনের পাশে ছেলে ধরা গুজব আতঙ্ক ছড়িয়ে মুমিন নামে এক যুবককে গণপি’টুনি দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।