
রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে রাউজানের পথেরহাট এলাকা থেকে ওই যুবককে আটক করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে র্যাব।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আজম চৌধুরীর বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নে। তিনি পুলিশের সাবেক উপ-পুলিশ পরিদর্শক।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মাহমুদুল হাসান মামুন বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আজম চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৭। একপর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা শেখ সোহরাব হোসেন সাদিচ (২৬) সম্পর্কে তথ্য পায় র্যাব। সেই তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে রাউজানের পথেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহরাবকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সোহরাব জানায়, নিহত মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আজম চৌধুরী তার পূর্বপরিচিত। কিছুদিন ধরে তিনি সোহরাবকে ঠাট্টা-টিটকারি করে আসছিলেন, তাই দীর্ঘদিন ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিলেন সোহরাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘হত্যার উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন সকালে এক হাজার টাকায় একটি ছুরি ক্রয় করেন সোহরাব। পরে রাতে কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আজম চৌধুরীকে গলা কেটে হত্যার পর ছুরিটি পানি দিয়ে ধুয়ে কামারের দোকানে ফিরিয়ে দেয়। তার দেয়া সাক্ষ্যের ভিত্তিতে উরকিরচর বইজাখালী এলাকা থেকে কাঠের বাঁটযুক্ত লোহার তৈরি ধারাল ছুরিটি উদ্ধার করা হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।