চট্টগ্রামে নতুন করে আরও ৯১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

জুমবাংলা ডেস্ক:  চট্টগ্রামে গত একদিনে নতুন করে ৯১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ সময় করোনাক্রান্ত একজন মারা যান।

১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে করোনাকালের সর্বনিম্ন সংক্রমণ হারের রেকর্ড হয়। এদিন ১ হাজার ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৩ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। করোনাক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬৬৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন শনাক্ত ৯১ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮০ জন এবং ছয় উপজেলার ১১ জন। উপজেলা পর্যায়ে রাউজান ও বাঁশখালীতে ৩ জন করে, সীতাকু-ে ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন।

জেলায় এ পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩১ হাজার ৭৪৪ জন। এর মধ্যে শহরের ২৪ হাজার ৬৮৫ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৫৯ জন।

পরীক্ষার এ সময়ে করোনাক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৬৬ জন হয়েছে, যাতে শহরের ২৬২ জন ও গ্রামের ১০৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন আরো ৫১ জন। ফলে এ সংখ্যা বেড়ে ৩০ হাজার ২০ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০ জন এবং হোম আইসোলেশনে সুস্থতার পর ছাড়পত্র পান ২৫ হাজার ৯৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন, ছাড়পত্র পান ৪০ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৪২৯ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৮২৯ জনের নমুনায় ১৮ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৪৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৩ টি নমুনার মধ্যে ১০ টিতে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জন ভাইরাসবাহক হিসেবে চিহ্নিত হন। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৯ জনেরই পজিটিভ রেজাল্ট আসে।

নগরীর বেসরকারি তিন ল্যাবের শেভরনে ১৯৫ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৭ টি নমুনার মধ্যে যথাক্রমে ১৩ ও ৪ টিতে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তবে, এদিন ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কারো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এ সময়ে চট্টগ্রামের ৪১ জনের নমুনা পাঠানো হয় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে। পরীক্ষায় ২ টি ছাড়া সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়।

রিপোর্ট বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টার ল্যাবভিত্তিক সংক্রমণ হার ছিল বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ, চমেকে ৬ দশমিক ৩৯, চবি’তে ১৩ দশমিক ৭০, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ২৪, আরটিআরএলে ৯০ শতাংশ, শেভরনে ৬ দশশিক ৬৭, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।