
জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১ হাজার ১২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১১৬ জন করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ১৪৪ করোনা রোগী।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে বৃহস্পতিবার নতুন শনাক্ত ১১৬ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৩ জন ও আট উপজেলার ৩৩ জন।
উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৮ জন, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ৫ জন করে, রাউজান ও সীতাকু-ে ৪ জন করে, আনোয়ারায় ৩ জন এবং মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ২ জন করে রয়েছেন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৫২ হাজার ৩০৭ জন। এর মধ্যে শহরের ৪১ হাজার ৮০৯ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ৪৯৮ জন।
গতকাল করোনায় ৩ রোগীর মৃত্যু হয়। তিন জনই গ্রামের বাসিন্দা। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৫৯৩ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৪৩২ জন ও গ্রামের ১৬১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ১৪৪ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩৮ হাজার ৬২৪ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৬ জন এবং ঘরে থেকে চিকিৎসায় সুস্থ হন ৩৩ হাজার ১৪৮ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৮ জন ও ছাড়পত্র নেন ৪৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪১৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ঈদের ছুটির পর নমুনা বাড়ার সাথে সাথে আক্রান্ত বাড়লেও আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা গতকালও বেশি ছিল। নতুন আইসোলেশনের চেয়ে ছাড়পত্র গ্রহীতাও বেশি। তবে ৩ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চলতি মে মাসের প্রথম ২০ দিনে চট্টগ্রামে ৬৯ করোনা রোগীর মৃত্যু হলো। সবচেয়ে বেশি ৮ জনের মৃত্যু হয় ৮ মে। একজন করে মারা যান চারদিন। এ মাসে কোনো মৃত্যুশূন্য দিন কাটেনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে ৩১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের ৪ জনসহ ২২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১০ ও গ্রামের ১৮ জনের দেহে ভাইরাস চিহ্নিত হয়।
ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৩৪ টি নমুনায় শহরের ২০ ও গ্রামের ৭ টিতে জীবাণুর অস্তিত্ব মেলে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৭ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে গ্রামের একটিসহ ৯ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১৮৪ নমুনা পরীক্ষায় গ্রামের একটিসহ ৯ টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫০ টি নমুনায় গ্রামের একটিসহ ৮ টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৪ টি নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিসহ ৬ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ৩০ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
তবে এদিন চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, চবি’তে ১৪ দশমিক ৫১, সিভাসু’তে ২০ দশমিক ১৫, চমেকে ২১ দশমিক ২১, আরটিআরএলে ১৫ দশমিক ৫২, শেভরনে ৪ দশমিক ৮৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৬ শতাংশ, মেডিকেল সেন্টারে ৪২ দশমিক ৮৬ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।