জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ১৪ উপজেলার একটিতেও করোনায় কেউ আক্রান্ত হয়নি। তবে এ সময়ে শহরের নতুন ৪ জনের দেহে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এ ছাড়া, করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের হালনাগাদ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ পাঠানো রিপোর্টে এ সব তথ্য জান গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর পাঁচ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের নতুন ৪ জীবাণুবাহক শনাক্ত হন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৭ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১৩৭ ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩২০ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৩৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সব গুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে। চার জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে। এখানে ৩৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এ দিকে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৪৮, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪৬ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবরেটরিতে ৪০৮ নমুনার সব গুলোরই নেগেটিভ আসে।
এ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথে একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা ও পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে শেভরনে ১ দশমিক ০৫ এবং বিআইটিআইডি, সিভাসু, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।