
জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ১ দশমিক ০৯ শতাংশ। এ সময় কভিড-১৯ এ কারো মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ছাড়া অবশিষ্ট ১৩ ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
নতুন পজিটিভ ১৩ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১২ জন ও হাটহাজারী উপজেলার ১ জন।
জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২ হাজার ৫৫৫ জন।
এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ২০৭ জন ও গ্রামের ২৮ হাজার ৩৪৮ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি।
ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭২৩ জন ও গ্রামের ৬০৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩৬৬ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
এখানে একজন জীবাণুবাহকেরও অস্তিত্ব মিলেনি।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২০ নমুনার মধ্যে শহরের একজন আক্রান্ত পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০টি নমুনায় গ্রামের একটিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে।
বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।
বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৫ টি নমুনার মধ্যে ৩ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮ টি নমুনায় শহরের ২ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এ দিকে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৮৫, ল্যাব এইডে ২ এবং নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৪ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়।
তিন ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে পরীক্ষিত মোট ১০৮টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট পাওয়া যায়।
কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো চট্টগ্রামের ৭ নমুনায়ও করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়নি।
এ দিন সরকারি-বেসরকারি নির্ধারিত ১৪ ল্যাবরেটরির মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ, চমেকহা ও সিভাসু’তে ৫ শতাংশ করে, আরটিআরএল-এ ৬০ শতাংশ।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৬০, এপিক হেলথ কেয়ারে ১১ দশমিক ১১ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ ।
চবি, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস