জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত ৩ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। একই সাথে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ আরো বেড়ে ৭৪২ জন হয়েছে। সংক্রমণের হার ২৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর ১১ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ২ হাজার ৮৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৭৪২ জনের মধ্যে শহরের ৫৯৭ ও ১৫ উপজেলার ১৪৫ জন। উপজেলার ১৪৫ জনের মধ্যে পটিয়ায় ২৬, রাঙ্গুনিয়ায় ২০, রাউজানে ১৫, সীতাকু-ে ১৩, ফটিকছড়িতে ১২, হাটহাজারী, চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ায় ১১ জন করে, বোয়ালখালীতে ৮, আনোয়ারায় ৫, লোহাগাড়ায় ৪, মিরসরাই ও সন্দ্বীপে ৩ জন করে, বাঁশখালীতে ২ জন এবং কর্ণফুলী উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৭১৯ জনে। এর মধ্যে শহরের ৭৬ হাজার ৭৯১ এবং গ্রামের ২৮ হাজার ৯২৮ জন। গতকাল করোনায় আক্রান্ত শহরের ৩ জন মারা যান। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৩৮ জন হয়েছে। এতে শহরের ৭২৮ ও গ্রামের ৬১০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ১১৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। অপর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে পরীক্ষিত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ৫৬ ও গ্রামের ২৮টি আক্রান্ত শনাক্ত হয়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৪৮টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬১টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৩২ জনের নমুনায় শহরের ৯৩ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৯টি নমুনার মধ্যে শহরের ২৯টিতে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫১টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০ ও গ্রামের ২৮টি করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৪৩ জনের নমুনায় শহরের ১৪ ও গ্রামের ১০টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৫৩ জনের নমুনায় শহরের ৬০ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪২টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরীক্ষিত ১৫৩ জনের নমুনায় শহরের ১০ ও গ্রামের ৭ জনের দেহে জীবাণু চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩৩৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৭৪ ও গ্রামের ৭২ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়। তবে ল্যাব এইডে ৪ নমুনার সবগুলোরই রেজাল্ট নেগেটিভ আসে।
এদিন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপিত ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৪৯, শেভরনে ১৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১৭ দশমিক ৬৩, চমেকহা’য় ৪০ দশমিক ০৮, চবি’তে ৭৪ দশমিক ৩৬, আরটিআরএলে ৬৩ দশমিক ৮৩, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ দশমিক ১৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৭৮, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৩৯ দশমিক ২১, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৭ দশমিক ১৭, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১১ দশমিক ১১ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। ল্যাব এইডে আক্রান্তের হার ছিল ০ শতাংশ নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।