জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪৭ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ২ দশমিক ৫১ শতাংশ। তবে এ সময়ে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর ১১ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ১ হাজার ৮৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৪৭ জনের মধ্যে শহরের ৩৯ ও চার উপজেলার ৮ জন। উপজেলার ৪ জনের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৪ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং সাতকানিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৪৭ জনে। এর মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৯৬২ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৪৮৫ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে শহর ও গ্রামের কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ২৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সবগুলো নমুনার নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
সবকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৩৬টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৮টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৯৬ জনের নমুনায় শহর ও গ্রামের দুই জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩৪ টি নমুনার মধ্যে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২১০ জনের নমুনার একটিতেও সংক্রমণের প্রমাণ মিলেনি। বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের একজনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৯৭ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ৮ ও গ্রামের ৫ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২৭০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের ২জন শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৭১ জনের নমুনায় একজনের দেহেও জীবাণু চিহ্নিত হয়নি। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮০ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের একটিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১৪৯ জনের নমুনায় শহরের ৩ জন আক্রান্ত বলে রিপোর্ট দেয়া হয়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৭৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একটিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৫৬ টি নমুনায় শহরের ৩ টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়।
এদিন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ, চমেকহা’য় ২ দশমিক ০৮, আরটিআরএলে ১৬ দশমিক ৬৬, এন্টিজেন টেস্টে ১৩ দশমিক ৪০, শেভরনে ১ দশমিক ৮৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ দশমিক ১৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২ দশমিক ০১, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১ দশমিক ৩৫ ও এভারকেয়ার হসপিটালে ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং চবি, সিভাসু, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।