জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় নতুন ১৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে, এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
![](https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2020/06/%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%A1-%E0%A7%A7%E0%A7%AF-1.jpg?resize=788%2C467&ssl=1)
করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর পাঁচ ল্যাবরেটরিতে গতকাল ৫০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ১৯ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮০১ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ২৫৬ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৪৫ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যায়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৩১৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে ৫ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৬ টি নমুনা পরীক্ষায় ৮ টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩৬ জনের নমুনায় ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে পরীক্ষিত ৮ নমুনার একটিতেও জীবাণু মিলেনি। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন বুথে ২২ জনের এন্টিজেন টেস্টে কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি।
বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ জনের নমুনার মধ্যে একজন এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৩ জনের নমুনায় ২ জন কোভিড রোগী পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব, শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাব এইড, এভারকেয়ার হসপিটাল ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডিতে ২২ দশমিক ২২ শতাংশ, চমেকহায় ৮ দশমিক ৩৩, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১ দশমিক ৫৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৩ দশমিক ৭৭ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩ দশমিক ১২ শতাংশ এবং আরটিআরএল ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।