জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিতের সংখ্যা আবারো পঞ্চাশের নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ জনের শরীরে করোনা জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শনিবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর পাঁচটি ল্যাবে ১ হাজার ১৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ৩৭ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৫ জন এবং দুই উপজেলার ২ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩৪ হাজার ৩৮৮ জন।
সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৬ হাজার ৯৪০ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৪৪৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে আনোয়ারা ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৭১ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৭০ জন ও গ্রামের ১০১ জন।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে এর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি পঞ্চাশের নিচে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। অবশ্য সেদিন ছিল সংখ্যা ও হারে চট্টগ্রামে করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ। সংক্রমণ হার ১ দশমিক ৭১ শতাংশ। করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। জানুয়ারি মাসে মোট ছয়দিন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পঞ্চাশের নিচে ছিল।
এদিকে, গত ১৯ দিন ধরে চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা একশ’র নিচে রয়েছে। পহেলা ফেব্রুয়ারি একবার শতক পেরিয়ে ১০৮ জন) হয়। শনাক্ত রোগী আশি থেকে ওপরে উঠেছিল আরো চার দিন। ১৮ ফেব্রুয়ারি ৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। ১৬ ফেব্রুয়ারি ৮২ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ। ৭ ফেব্রুয়ারি ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণের হার ছিল ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
২ ফেব্রুয়ারি ৮০ জনের দেহে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। উল্লিখিত দিনে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৭৪২ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৭ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১০ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫ টিতে করোনার জীবাণু থাকার প্রমাণ মেলে।
নগরীর বেসরকারি দুই ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৮৫ নমুনা পরীক্ষায় ১৫ টিতে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিললেও মা ও শিশু হাসপাতালে ৯ জনের নমুনায় কেউ করোনায় আক্রান্ত নন বলে রিপোর্টে জানা যায়।
তবে, নগরীর অপর তিন ল্যাবরেটরি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ও শেভরন এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৯৪ শতাংশ, চমেকে ২ দশমিক ৩৮, আরটিআরএলে ৫০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৭ দশমিক ৬৫ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।