জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও সংক্রমণ হার বেড়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ সময় কোনো করোনা রোগি মারা যায়নি।
জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্ট থেকে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর নয় ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ৪৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে নতুন ২৬ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আক্রান্ত ২৬ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৭১৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে ৯২ হাজার ১৭২ জন শহরের ও ৩৪ হাজার ৫৪৩ জন গ্রামের। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে চট্টগ্রামে করোনার প্রকোপ কমে যায়। এ সময় কোনো কোনো দিন একজন কী দু’জন শনাক্ত হলেও অধিকাংশ দিন করোনাশূন্যই ছিল। কিন্তু গত তিনদিন ধরে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। সাথে সংক্রমণ হারও। ১২-১৪ জুন ৫ জন করে পজিটিভ শনাক্তের পর ১৫ জুন ১৬ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। এদিন সংক্রমণ হার বেড়ে ৩ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়। কিন্তু গতকাল শনাক্ত ব্যক্তি ও আক্রান্তের হার আগের দিনের প্রায় দ্বিগুণের কাছাকাছি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে। এখানে ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষায় কোনো জীবাণুবাহক পাওয়া যায়নি।
সরকারি পরীক্ষাগারের মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৫ জনের নমুনার মধ্যে ১০ আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৭ জনের নমুনার মধ্যে ২ জন সংক্রমিত মিলেছে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৯ জনের নমুনায় একজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২ জনের এন্টিজেন টেস্টে কেউ সংক্রমিত নন বলে জানানো হয়।
নগরীর বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনায় একজন পজিটিভ মিলেছে। এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ৪০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
এদিন আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫ ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। দুই পরীক্ষাগারে একজন করোনা রোগিও মিলেনি।
এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৮ দশমিক ১৮, চমেকেহা’য় ৭ দশমিক ৪১, আরটিআরএলে ১১ দশমিক ১১, শেভরনে ২০ দশমিক ৫৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪ দশমিক ৮৮, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ৭ দশমিক ৫০ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাব এইড, শাহ আমানত বিমানবন্দর, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।