জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৭৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ২০ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এ সব তথ্য জানা যায়। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর আট ল্যাবে গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮৫১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৫৭৪ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। এর মধ্যে শহরের ৪৩৩ ও ১৪ উপজেলার ১৪১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বোচ্চ ২০,
হাটহাজারীতে, মিরসরাইয়ে ১৩, রাউজান সাতকানিয়া ও বোয়ালখালীতে ১১ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ১০ জন, সীতাকু-, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ায় ৯ জন করে, আনোয়ারা ও বাঁশখালীতে ৭, পটিয়ায় ৬ ও সন্দ্বীপে ২ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২২ হাজার ৬৮৫ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের ৮৯ হাজার ৩৭৮ ও গ্রামের ৩৩ হাজার ৩০৭ জন। করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গতকাল শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৩৫৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ১৫৭ ও গ্রামের ৪ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৩০ ও গ্রামের ৩২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২০টি নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ১২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২০৪ নমুনার মধ্যে শহরের ৪০ ও গ্রামের ১৬টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৫৬২টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১০৯ ও গ্রামের ৩০টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৫৫ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৫১ ও গ্রামের ১৮ জন ভাইরাসবাহক শনাক্ত হন। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৩ নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ১৯টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ২৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের ৩ টি সংক্রমিত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ১৪৯ নমুনায় শহরের ২৯ ও গ্রামের ৭টিতে জীবাণুর উপস্থিতি ধরা পড়ে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ২৫ দশমিক ৩৯, চমেকহা’য় ৩২ দশমিক ৪৬, চবি’তে ১৫, সিভাসু’তে ২৭ দশমিক ৪৫, শেভরনে ২৪ দশমিক ৭৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৫ দশমিক ১৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১০ দশমিক ২৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১ দশমিক ৯০ এবং এপিক হেলথ কেয়ারে ২৪ দশমিক ১৬ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।