জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩৫২ জন আক্রান্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজ পাঠানো রিপোর্টে এ সব তথ্য মিলেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নগরীর দশ ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে গতকাল মঙ্গলবার ৩ হাজার ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের ২৪৫ ও ১৩ উপজেলার ১০৭ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীতে ৩২, সীতাকু- ও বাঁশখালীতে ১১ করে, পটিয়ায় ৯, মিরসরাই, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতে ৭ জন করে, ফটিকছড়িতে ৬ জন, আনোয়ারা ও সাতকানিয়ায় ৫ জন করে, লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপে ৩ জন করে এবং রাউজানে ১ জন রয়েছেন। রাঙ্গুনিয়া ও কর্ণফুলী উপজেলায় গতকাল কোনো রোগি শনাক্ত হয়নি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৪ হাজার ৩২৫ জন। এদের মধ্যে শহরের ৯০ হাজার ৫’ জন ও গ্রামের ৩৩ হাজার ৮২৫ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬০ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৫৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৩৫ ও গ্রামের ১৯ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ১১৬ ও গ্রামের ৪টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪৬ জনের নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের একজন সংক্রমিত বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ২৭১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ২৪ ও গ্রামের ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯টি নমুনায় শহরের ২টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৩৮ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ১৯ জনকে আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৭৭ জনের নমুনায় শহরের ১৪ ও গ্রামের ৭ জনের দেহে করোনার জীবাণু মিলেছে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৬০টি নমুনায় শহরের ৭ ও গ্রামের ১১টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৭৬ নমুনার মধ্যে শহরের ৫ ও গ্রামের ৪টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ১২ জন আক্রান্ত হন। ল্যাব এইডে পরীক্ষিত ২টি নমুনারই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৪৯ জনের নমুনায় শহরের ৮ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে ৫৫৯ বিদেশগামীর নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের সংক্রমণ পাওয়ায় তাদের যাত্রা বাতিল করা হয়।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২১ দশমিক ৪৩, চবি’তে ১০ দশমিক ৮৭, সিভাসু’তে ২৪ দশমিক ৩৫, আরটিআরএলে ২২ দশমিক ২২, এন্টিজেন টেস্টে ১৩ দশমিক ৭৭, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭ দশমিক ৫৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৬ দশমিক ৯২, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩ দশমিক ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৭ দশমিক ৩৯, ল্যাব এইডে ০ শতাংশ, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৩২ এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।