জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন ২৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। তবে এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, নগরীর বারো ল্যাব ও এন্টিজেন টেস্টে বৃহস্পতিবার ২ হাজার ৯২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্তদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১৮৫ জন ও ১২ উপজেলার ৯২ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ মিরসরাইয়ে ১২ জন, রাউজান, হাটহাজারী ও ফটিকছড়িতে ১১ জন করে, চন্দনাইশ ও বোয়ালখালীতে ৯ জন করে, বাঁশখালীতে ৮ জন, পটিয়ায় ৭ জন, সাতকানিয়ায় ৫ জন, সীতাকুন্ডে ৪ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন এবং আনোয়ারায় ২ জন। কর্ণফুলী, লোহাগাড়া ও সন্দ্বীপ উপজেলায় এ সময়ে কোনো রোগি শনাক্ত হয়নি। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৪ হাজার ৮১৯ জন। এদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯০ হাজার ৭৯৬ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ২৩ জন। এ সময়ে করোনায় শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬০ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৯৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ৮৩ জন পজিটিভ পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৬১ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ৬ ও গ্রামের ৮ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৫৯ নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ২ ও গ্রামের ১ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৬৪ নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ২১ টিতে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ২২ টি নমুনায় শহরের ৮ ও গ্রামের ৪ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৬ জনকে সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৪৩১ টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ৩২ ও গ্রামের ২৫ টি আক্রান্ত পাওয়া যায়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩৭০ জনের নমুনায় শহরের ৬ ও গ্রামের ৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩২২ টি নমুনায় শহরের ১১ ও গ্রামের ৫ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৭৬ নমুনার মধ্যে শহরের ৯ টিতে জীবাণু থাকার প্রমাণ মিলে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৭ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। ল্যাব এইডে পরীক্ষিত একমাত্র নমুনাটির নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪০ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ৪ টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৩৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সেটি নেগেটিভ হয়।
এদিন শুধুমাত্র শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১৬ দশমিক ৬৩ শতাংশ, চমেকহা’য় ৮ দশমিক ৬৯, চবি’তে ৫ দশমিক ০৮, সিভাসু’তে ১৬ দশমিক ৪৬, আরটিআরএলে ৫৪ দশমিক ৫৪, এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ৪৫, শেভরনে ১৩ দশমিক ২২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪ দশমিক ০৫, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ দশমিক ৯৭, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৩ দশমিক ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৬ দশমিক ০৪, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২৭ দশমিক ৫০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১ দশমিক ৯৩ এবং ল্যাব এইড ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।