জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। সংক্রমণ হার ২ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর তেরো ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের ২ হাজার ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৫২ পজিটিভের মধ্যে শহরের ৩৬ ও আট উপজেলার ১৬ জন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩১১ জন। এর মধ্যে শহরের ৯১ হাজার ৮৬০ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৪৫১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাইয়ে ৫ জন, হাটহাজারীতে ৩ জন, বাঁশখালী ও চন্দনাইশে ২ জন করে, লোহাগাড়া, রাউজান, সন্দ্বীপ ও বোয়ালখালীতে একজন করে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে গতকাল সর্বোচ্চ ৪৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ৪ ও গ্রামের ২ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১৩ ও গ্রামের ৪ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ১১৫ টি নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের ৫ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ল্যাবে ১১ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৯ টি নমুনায় গ্রামের ১ টিতে ভাইরাস শনাক্ত হয়। নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৯ টি নমুনায় শহরের ২ ও গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২৩ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১ ও গ্রামের ২ জন ভাইরাসবাহক বলে জানানো হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৩৫ টি নমুনায় শহরের ২ টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ১১৯ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের শরীরে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৩৪৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিও করোনায় আক্রান্ত মিলেনি। ল্যাব এইডে ১১ টি নমুনায় শহরের ৩ টি সংক্রমিত পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ ও গ্রামের একজনের শরীরে জীবাণুর উপস্থিতি মিলে। এভারকেয়ার হসপিটালে ১২ টি নমুনার একটিতেও ভাইরাস পাওয়া যায়।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, শেভরনে ১ দশমিক ২৪ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৫ দশমিক ৫৩, চমেকহা’য় ৭ দশমিক ৮২, চবি’তে ১১ দশমিক ১১, সিভাসু’তে ৫ দশমিক ২৬, আরটিআরএলে ৩৩ দশমিক ৩৩, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১ দশমিক ৩৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ০ দশমিক ৮৫, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২ দশমিক ৫২, ল্যাব এইডে ২৭ দশমিক ২৭, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১০ দশমিক ৫২ এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ও এন্টিজেন টেস্টে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।