জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে। এ সময়ে শহরে ১১ জন ও রাউজান উপজেলার একজনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, সোমবার নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে ৩৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত নতুন ১২ ভাইরাসবাহকের ১১ জন শহরের বাসিন্দা ও একজন রাউজানের। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৮২ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ২৩৭ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৪৫ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মারা যাননি। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ২৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩০ জন ও কর্ণফুলী উপজেলার একজনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ছিল ১১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
ল্যাবভিত্তিক গতকালের রিপোর্টে দেখা যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে সবচেয়ে বেশি ১১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে একজনও জীবাণুবাহক মিলেনি।
সবচেয়ে বেশি পজিটিভ শনাক্ত হয় বেসরকারি ল্যাবরেটরি এপিক হেলথ কেয়ারে। এখানে ৩৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৭ টিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৩২ টি নমুনায় শহরের ২ টি, আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ৮ নমুনার মধ্যে শহরের ২ টি এবং নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১৯ টি নমুনার এন্টিজেন টেস্টে রাউজান উপজেলার একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
এছাড়া, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৩৯, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৩৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০, ল্যাব এইডে ২, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৫৩ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ১৪৬ নমুনার একটিতেও ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
এদিন, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানোর প্রয়োজন পড়েনি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে আরটিআরএলে ২৫ শতাংশ, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৮ দশমিক ৯২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ২৫ ও এন্টিজেন টেস্টে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং চমেকহা, শেভরন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাব ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।