জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫৮ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ সময় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে বলা হয়, এন্টিজেন টেস্ট ও নগরীর দশ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ৫২১ জনের নমুনায় নতুন ৫৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন। এর মধ্যে শহরের ৪৬ ও সাত উপজেলার ১২ জন। জেলায় মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৩৬ জন। এর মধ্যে শহরের ৯২ হাজার ৫৫৬ ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৮০ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৪ জন, ফটিকছড়ি ও রাউজানে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, সন্দ্বীপ, সাতকানিয়া ও আনোয়ারায় একজন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। মৃতের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৪ ও গ্রামের ৬২৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবরেটরিতে গতকাল সবচেয়ে বেশি ১শ’ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ২ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৪৯ জনের নমুনার মধ্যে শহরের ১১ ও গ্রামের ৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৫টি নমুনায় শহরের ৩ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৪৯ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হয়। এতে গ্রামের ৫ জন সংক্রমিত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ৪ জনের শরীরে জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেছে। শেভরনে ৫০ জনের নমুনায়ও শহরের ৪ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৬ নমুনায় শহরের ৩টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শহরের একজন করে শনাক্ত পাওয়া যায়। এপিক হেলথ কেয়ারে ৫০টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ টিতে সংক্রমণ চিহ্নিত হয়। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ৯৩ টি নমুনায় শহরের একটি ও গ্রামের দুইটিতে জীবাণুর অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবরেটরিতে ২০ টি নমুনায় শহরের ৯ টিতে জীবাণুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়।
এদিন ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পরীক্ষার জন্য যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ২ শতাংশ, চমেকহা’য় ২৮ দশমিক ৫৭, আরটিআরএলে ৬০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬ দশমিক ২৫, শেভরনে ৮, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১১ দশমিক ৫৪, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ২০, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ৩ দশমিক ২২, এভারকেয়ার হসপিটালে ৪৫ এবং এন্টিজেন টেস্টে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।