জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শহর ও গ্রামে কোনো রোগির মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর এগারো ল্যাবরেটরি এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল ৩৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৬৬ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৬ জন ও নয় উপজেলার ২০ জন। উপজেলার ২০ জনের মধ্যে হাটহাজারীতে ৮ জন, রাউজানে ৪ জন, আনোয়ারায় ২ জন এবং মিরসরাই, পটিয়া, চন্দনাইশ, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলায় একজন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ২৬০ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৪৮৯ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৭৭১ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শহরের ৮ জন পজিটিভ শনাক্ত হন।
ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে পরীক্ষিত ৫৫ জনের নমুনায় শহরের ৬ জনের দেহে করোনার ভাইরাস চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৪৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৮ ও গ্রামের ৫ টিতে কোভিড শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৩৭ নমুনায় গ্রামের ৮ টি আক্রান্ত শনাক্ত হয়। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের একজনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ৩০ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে গ্রামের ৩ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ৫৮ জনের নমুনায় শহরের ৬ জনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ২৭ নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৬ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ নমুনার মধ্যে গ্রামের একটিতে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১০ জনের নমুনায় শহরের ২ জনের দেহে ভাইরাস শনাক্ত হয়। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৩ ও গ্রামের ২ টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৮ জনের নমুনায় শহরের ৩ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে পরীক্ষিত ৫ নমুনার মধ্যে শহরের ৩ ও গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু চিহ্নিত হয়।
এদিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), ল্যাব এইড ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ১০ দশমিক ৯১, চমেকহা’য় ২৭ দশমিক ৬৬, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ৬২, আরটিআরএলে ২৫, শেভরনে ১০ দশমিক ৩৪, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২ দশমিক ২২, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৬৯, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০, এপিক হেলথ কেয়ারে ২০, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১৬ দশমিক ৬৬, এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৮০ শতাংশ এবং এন্টিজেন টেস্টে ১০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।