জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময় কোভিডে কারো মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ২ হাজার ৪৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন পজিটিভ ৯৮৯ জনের মধ্যে শহরের ৬৭৭ ও ১৪ উপজেলার ৩১২ জন। উপজেলার ৩১২ জনের মধ্যে পটিয়ায় ৬২, সীতাকু- ও হাটহাজারীতে ৪৪ করে, রাউজানে ৩৪, সাতাকানিয়ায় ২২, চন্দনাইশ ও ফটিকছড়িতে ২১ করে, রাঙ্গুনিয়ায় ১৮, বোয়ালখালীতে ১৪, আনোয়ারা ও মিরসরাইয়ে ৮, লোহাগাড়ায় ৭, বাঁশখালীতে ৫ ও সন্দ্বীপে ৪ জন রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ১২ হাজার ১১২ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮১ হাজার ৮৬১ জন ও গ্রামের ৩০ হাজার ২৫১ জন। গতকাল করোনায় শহর ও গ্রামে কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৩ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৮ ও গ্রামের ৬১৫ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে গতকাল সবচেয়ে বেশি ৪৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এখানে শহরের ১১০ ও গ্রামের ৫২ জন জীবাণুবাহকের অস্তিত্ব মিলে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১১৬ জনের শরীরে ভাইরাস শনাক্ত হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭৪ জনের নমুনায় শহরের ৯৪ ও গ্রামের ৩ জন করোনায় আক্রান্ত বলে জানানো হয়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫২ নমুনার মধ্যে শহরের ৬৬ ও গ্রামের ১৯ জন আক্রান্ত পাওয়া যায়। বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ পরীক্ষিত ৩২ নমুনার মধ্যে শহরের ১৯ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে।
বেসরকারি ল্যাব আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯১ টি নমুনার মধ্যে শহরের ৩৩ ও গ্রামের ৫৫ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করলে শহরের ১৬ ও গ্রামের ১৭ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এপিক হেলথ কেয়ারে ২৯৬ জনের নমুনায় শহরের ১৫০ ও গ্রামের ১১ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৮৭ জনের নমুনায় শহরের ৫২ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন। এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৭১ নমুনায় শহরের ৯ ও গ্রামের ৩১ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে। শহর ও গ্রামে নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ২৯৫ জনের এন্টিজেন টেস্ট করা হলে শহরের ১২ ও গ্রামের ১২৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ল্যাব, বেসরকারি শেভরন ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা যায়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩৭ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩০ দশমিক ০৫, চবি’তে ৫৫ দশমিক ৭৪, সিভাসু’তে ৫৫ দশমিক ৯২, আরটিআরএল-এ ৫৯ দশমিক ৩৭, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৩০ দশমিক ২৪, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২০ দশমিক ৮৮, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫৪ দশমিক ৩৯, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ৬০ দশমিক ৯১, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ২৩ দশমিক ৩৯ এবং এন্টিজেন টেস্টে ৪৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।