জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে ৮৩ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সর্বনিম্ন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ জন কোভিডে আক্রান্ত হন। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ সময়ে জেলায় কোনো করোনা রোগির মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম মহানগর ও ১৫ উপজেলায় করোনার সংক্রমণের হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আজকের রিপোর্টে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরীর দশ ল্যাব এবং এন্টিজেন টেস্টে বুধবার চট্টগ্রামের ৮০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে নগরীর ২ জন ও পটিয়া উপজেলার একজন পজিটিভ শনাক্ত হন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৭৪ জন। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৫২ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৫২২ জন। বুধবার শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কেউ মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এর আগে এরচেয়ে কম করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছিল ৮৩ দিন আগে, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। ওইদিন ২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ে, হার ছিল ০ দশমিক ১১ শতাংশ। এক হাজার ৯০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জন শনাক্তের আরেকটি দিন ছিল ৪ ডিসেম্বর। সংক্রমণ হার ০ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনাশূন্য দ্বিতীয় দিনটিও আসে ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখে। এদিন ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। উল্লিখিত এ তিনদিনেই জেলার কোথাও কোনো করোনা রোগির মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বুধবার সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বেসরকারি এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবরেটরিতে। এখানে ১৮০ টি নমুনা পরীক্ষায় একটিতেও ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেনি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১২৭ টি নমুনার মধ্যে শহরের ২ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। নমুনা সংগ্রহের বিভিন্ন কেন্দ্রে ১১ জনের এন্টিজেন টেস্টে পটিয়ায় একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন।
এছাড়া, সরকারি পরীক্ষাগার চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২, চট্টগ্রাম মেডিকের কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৪৮, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৫, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৩, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৬৫, এপিক হেলথ কেয়ারে ৮৩, ল্যাব এইডে ২, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৪৩ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ১৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রামের একটি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। দশ ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৪৮৯ নমুনার একটিতেও করোনার জীবাণুর অস্তিত্ব মিলেনি।
এদিন নগরীর বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৫৭ ও এন্টিজেন টেস্টে ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং চবি, চমেকহা, সিভাসু , ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল এবং কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ল্যাবে ০ শতাংশ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।