জুমবাংলা ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলার ১৫ উপজেলায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন আক্রান্ত না পেলেও নগরীতে ৬ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
সংক্রমণের হার ০ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময় কোনো রোগির মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ও নগরীর সাত ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
নতুন শনাক্ত ৬ জন জীবাণুবাহকের সকলেই। জেলায় করোনায় এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লক্ষ ২ হাজার ৪১৫ জন।
এর মধ্যে শহরের ৭৪ হাজার ১শ’ এবং গ্রামের ২৮ হাজার ৩১৫ জন। গতকাল করোনায় আক্রান্ত রোগিদের মধ্যে শহর ও গ্রামে কেউ মারা যায়নি।
মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৩১ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭২৩ ও গ্রামের ৬০৮ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।
এখানে ৩৫০ জনের নমুনার মধ্যে একজন ও পজিটিভ পাওয়া যায়নি। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজন শনাক্ত হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ২৪ জনের নমুনায় শহরের একজনের ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
নগরীর বিশেষায়িত কভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ১৭ নমুনার ৩টিতে ভাইরাস চিহ্নিত হয়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৩০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে একটিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
এদিকে, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৫৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৪, এপিক হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চট্টগ্রামের ৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। চার ল্যাবে ২৯৩ নমুনার সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, ল্যাব এইড ও মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নগরী ও জেলায় নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথে একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ০ দশমিক ৩৪ শতাংশ, চমেকহা’য় ৪ দশমিক ১৬, আরটিআরএলে ১৭ দশমিক ৬৪ ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং শেভরন, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার পাওয়া যায়। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।