চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার জট, রপ্তানি ও আমদানি ব্যাহত

Container jam at Chittagong port

ইঞ্জিন সংকটের কারণে কনটেইনার পরিবহন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকায় কন্টেইনার পরিবহনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিনটি ট্রেনে করে কনটেইনার পরিবহন করা হয়। কিন্তু ইঞ্জিন সংকটের কারণে এখন আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে মালামাল পরিবহনে হিমশিম খাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

Container jam at Chittagong port

এর ফলে বিপদে পড়েছে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা। কন্টেইনার জট থাকার কারণে পন্য পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। যদি ইঞ্জিন সংকট না থাকতো তাহলে দিনে ১৬০টি কনটেইনার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করতো। ভয়াবহ ইঞ্জিন সংকটের কারণে এ সংখ্যা ৫০ পর্যন্ত নেমে এসেছে।

রেল বিভাগ বলছে, ওয়াগন ট্রেন প্রস্তুত থাকলেও ইঞ্জিন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সময় মেনে কনটেইনার ট্রেন ছাড়তে পারছে না তারা।  সিজিপিওয়াইয়ের প্রধান ইয়ার্ড মাস্টার আবদুল মালেক বলেন, ‘আমরা পর্যাপ্ত ইঞ্জিন, মানে যেটা আমার এখান থেকে কনটেইনার নিয়ে ঢাকায় যাবে অথবা রংপুর-সৈয়দপুর বা দিনাজপুর যাবে, এটার একটি ক্রাইসিস হয়ে গেছে। এ কারণে আমরা সিডিউলটা রক্ষা করতে পারছি না।’ দুই সপ্তাহ পণ্য ভর্তি কনটেইনার আটকে থাকায় চিন্তিত ব্যবসায়ী ও বন্দর ব্যবহারকারীরা।

এমএসসি শিপিংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আজমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘একটা ফুল কন্টেইনারের যে স্টোরেজ কস্ট সেটা আমাদেরকে বিল করে দেওয়া হয়। সেটা আবার আমাদেরকে রিকভার করতে গেলে আমরা বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ি। প্লাস দেখা যাচ্ছে যে কন্টেইনারগুলো স্টাক হয়ে থাকে। আমরা রিইউজ করতে পারছি না।’

স্মার্ট গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ক্যাপ্টেন মাইনুল আহসান বলেন, ‘কান্ট্রি মুভস উইথ চিটাগাং পোর্ট করতে হলে এটার সক্ষমতা বাড়াতে হবে, আধুনিক করতে হবে এবং অটোমেশনে যেতে হবে।’ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেচ মৌসুমের আগে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তেলের ওয়াগন পরিবহনেও ঠিক মতো ইঞ্জিন বরাদ্দ দিতে পারছে না রেল বিভাগ।