ফারুক তাহের, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আসা পণ্যবাহি জাহাজের ৮২ শতাংশই এখন দিনে দিনেই বন্দর জেটিতে ভিড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কন্টেইনারবাহী এবং বাল্ক বা খোলা দুই ধরনের জাহাজই রয়েছে। আমদানি পণ্য নিয়ে আসা চট্টগ্রাম বন্দরের মোট জাহাজের ৮২ শতাংশ জাহাজকে বহির্নোঙর থেকে জেটিতে ভিড়তে কোনও অপেক্ষাই করতে হয়নি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বন্দর জেটিতে ভিড়া জাহাজের তথ্য পর্যালোচনা করে এই পৌরিসংখ্যান মিলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে অন এরাইভাল বা দিনে দিনেই জাহাজ ভিড়ার সংখ্যা এখন বাড়ছে। ফেব্রুয়ারিতে এযাবত সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়লো দেশের প্রধান এই সমুদ্রবন্দর। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারকারীদের সময় সাশ্রয় হওয়ায় আর্থিক সাশ্রয়ও হয়েছে এবং শিপিং বাণিজ্যে বন্দরের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, জাহাজ ভিড়া ও লোডিং আনলোডিংয়ের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরে যদি জোয়ার-ভাটার বাধা না থাকতো, তাহলে আরো বেশি পরিমাণ জাহাজ পণ্য খালাসের জন্য দিনে দিনেই জেটিতে ভিড়ার সুযোগ পেত। বন্দরের বহির্নোঙরে আসা কন্টেইনার ও বাল্ক বা খোলা দুই ধরনের জাহাজই বন্দর জেটেতে ভেড়ার সুযোগ পেয়েছে। এরফলে বিপুল অর্থ সাশ্রয় হয়েছে; যার সুফল পাচ্ছেন দেশের আমদানি-রপ্তানিকারকরা।
চট্টগ্রামে বন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার পর একটি জাহাজকে বন্দরে বার্থিং নিতে আড়াই থেকে তিনদিন অপেক্ষা করতে হতো। সময়ের এই অপচয় বিবেচনায় রেখে বিদেশি শিপিং লাইনগুলো এই রুটে জাহাজ পরিচালনার ক্ষেত্রে কম আগ্রহী ছিল। অর্থ্যাৎ বহির্নোঙরে পৌঁছে তিনদিন বসে থাকার খরচ বিবেচনায় রেখেই পণ্য পরিবহন ভাড়া নির্ধারন করতো শিপিং লাইনগুলো। এখন যেহেতু দিনে দিনেই জাহাজ জেটিতে ভিড়ছে সে হিসেবে জাহাজ ভাড়াও পুনঃনির্ধারণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪২৩১টি জাহাজ পণ্য উঠানামা করেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।