চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
বন্দর নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর ও পাঁচলাইশের একাংশ নিয়ে গঠিত এই আসনের ১৫৬টি ভোট কেন্দ্রের এক হাজার ২৬১টি বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে সকালের দিকে ভোটারের উপস্থিতি কম দেখা গেছে। অনেক কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।
ভোট কেন্দ্রগুলোতে বসানো হয়েছে এক হাজার ৪০৭টি সিসি ক্যামেরা। ভোট কেন্দ্রে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে এ জন্য এসব সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ‘নৌকা’, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনজুরুল ইসলাম ভুঁইয়া ‘রকেট’, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামসুল আলম ‘লাঙ্গল’, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত ‘সোনালী আঁশ’ ও গণমুক্তি জোটের রশিদ মিয়া ‘ছড়ি’ প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
সকালে চট্টগ্রামের নিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু।
ভোট দেওয়ার পর তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। আগে এই আসনে নৌকার ভোটের যে পরিসংখ্যান আছে, তাতে মনে করি নৌকা এবার বিজয়ী হবে।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রের পরিস্থিতি সিসি ক্যামেরায় নির্বাচন কমিশন থেকে নিবিড় মনিটরিং করা হচ্ছে। রিটার্নিং অফিসার কার্যালয় থেকেও মনিটরিং হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। আশা করছি, শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে পারব।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৮ জন এবং নারী দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৭৭ জন। এ ছাড়াও এ আসনে ২৩ জন ভোটার আছেন তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া)।
সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে গত ৮ জুন তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী আজ (৩০ জুলাই) উপনির্বাচন।
গত ২ জুন ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীন। তিনি দীর্ঘদিন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এ আসন থেকে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।