Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ নিয়ে বিজ্ঞান কতদূর এগিয়েছে?
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ নিয়ে বিজ্ঞান কতদূর এগিয়েছে?

    Yousuf ParvezOctober 18, 20245 Mins Read
    Advertisement

    সময় ভ্রমণ কী করে সম্ভব সেটা বুঝতে হলে পদার্থবিদের মতো করে চিন্তা করতে হবে। হ্যাঁ, বলছি চতুর্থ মাত্রার কথা। বিষয়টাকে একটু কঠিন মনে হলেও আসলে তা নয়। একটি ছোট বাচ্চাও জানে, প্রতিটি বস্তুই ত্রিমাত্রিক স্থানে অবস্থান করে। এই যে আমিও। সবকিছুরই আছে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা।

    চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ

    কিন্তু সময় ভ্রমণের একটি সমস্যা হলো কিছু প্যারাডক্স বা স্ববিরোধিতা। এদের মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাতটির নাম গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স। এটাকে একটু সরল করে অন্যভাবে বলি। নাম দিলাম ম্যাড সায়েন্টিস্ট প্যারাডক্স। মনে করুন আমি একটি সময়-সুড়ঙ্গ বানালাম, যা মাত্র এক মিনিট লম্বা। এটায় চোখ রেখে পাগল বিজ্ঞানী নিজের এক মিনিট আগের চেহারা দেখছেন। কিন্তু তিনি যদি সুড়ঙ্গের ওপারের চেহারায় গুলি করেন তাহলে কী হবে? তিনি তাহলে এক মিনিট আগে মারা গেলেন? তাহলে গুলিটা কে করল?

       

    এ ধরনের টাইম মেশিন মহাবিশ্বের মৌলিক একটি নীতির বিরুদ্ধে যায়। ফলাফলের আগে কারণ ঘটে। কখনোই উল্টোটা নয়। তা না হলে মহাবিশ্ব হতো বিশৃঙ্খল। ফলে আমার বিশ্বাস, কোনো না কোনোভাবে বিজ্ঞানী নিজেকে গুলি করতে ব্যর্থ হবেনই। তা ছাড়া ওয়ার্মহোল বেশিক্ষণ টিকেও থাকতে পারবে বলে মনে হয় না। ধরুন, একটি স্পিকার দিয়ে গান বাজছে। তার দিয়ে মাইক যুক্ত করে শব্দ বাড়ানো হলো।

    মাইকের সামনেই যদি স্পিকার রাখা হয় তাহলে কী হবে? প্রতিবার ঘুরে এসে শব্দ ক্রমশ বাড়তে থাকবে। কেউ না থামিয়ে দিলে একসময় পুরো সাউন্ড সিস্টেম ভেঙে পড়বে। একই ঘটনা ঘটবে ওয়ার্মহোলের ক্ষেত্রেও। তবে এখানে শব্দের বদলে কাজ করবে বিকিরণ। ওয়ার্মহোলের মুখ খুলতে না-খুলতেই এতে বিকিরণ প্রবেশ করবে এবং লুপ আকারে ঘুরবে। একসময় এর শক্তি এত বাড়বে যে এটি ধ্বংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময়-সুড়ঙ্গগুলো দিয়ে বাস্তবে কাজ হবে না।

    তবে সময় ভ্রমণ করে ভবিষ্যতে যাওয়ার আরেকটি উপায় আছে। সময় প্রবাহিত হয় নদীর মতো। অবিরত। তবে ভিন্ন ভিন্ন স্থানে প্রবাহের গতি আলাদা। ১০০ বছর আগে কথাটা প্রথম বলেছিলেন আইনস্টাইন। কথাটার প্রমাণ আছে আমাদের হাতের নাগালেই। আমরা বর্তমানে হরদম জিপিএস ব্যবহার করি।

    এটি কাজ করে উপগ্রহের মাধ্যমে। উপগ্রহে আছে খুব নিখুঁত ঘড়ি। কিন্তু শতভাগ নয়। পৃথিবীর ঘড়ির তুলনায় উপগ্রহের ঘড়ি প্রতিদিন এক সেকেন্ডের এক শ কোটি ভাগের এক ভাগ দ্রুত চলে। এটাকে হিসাবে না ধরলে জিপিএসের নির্দেশনা হবে ভুল। ওই ঘড়িগুলো দ্রুত চলে কারণ পৃথিবীর তুলনায় মহাশূন্যে সময়ই দ্রুত চলে। এর কারণ পৃথিবীর ভর। একটি বস্তু যত ভারী হয়, সেটি তত বেশি ধীর করে দেয় সময়কে। এর ফলেই উন্মুক্ত হয়েছে সময় ভ্রমণের আরেকটি সম্ভাবনা।

    আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে রয়েছে গ্যালাক্সির সবচেয়ে ভারী বস্তুগুলো। রয়েছে একটি সুপারম্যাসিভ বা অতিভারী কৃষ্ণগহ্বর (ব্ল্যাকহোল)। ভর চল্লিশ লক্ষ সূর্যের সমান, যে ভর কেন্দ্রীভূত আছে একটি মাত্র বিন্দুতে। এর খুব কাছ থেকে আলোও বের হতে পারে না। সময়কে সবচেয়ে বেশি বিকৃত করে কৃষ্ণগহ্বর। তৈরি করে প্রাকৃতিক টাইম মেশিন।

    মনে করুন, কেউ মহাকাশযানে চেপে কৃষ্ণগহ্বর ভ্রমণে গেলেন। পৃথিবী থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রতি ১৬ মিনিটে একবার তিনি প্রদক্ষিণ করছেন কৃষ্ণগহ্বরটিকে। কিন্তু নভোচারী প্রতি ১৬ মিনিটের বদলে অনুভব করছেন মাত্র ৮ মিনিট। ফলে কৃষ্ণগহ্বর থেকে দূরে অবস্থান করা কারও চেয়ে তিনি অনুভব করবেন অর্ধেকটা সময়। যানের নভোচারী সময় ভেদ করে চলতে থাকবেন। ধরুন, তিনি পাঁচ বছর এভাবে ঘুরলেন। ফিরে এসে দেখবেন, পৃথিবীতে পার হয়ে গেছে ১০ বছর। মানে, পাঁচ বছর বেশি।

    তার মানে অতিভারী কৃষ্ণগহ্বররা এক একটি টাইম মেশিন। এটি ওয়ার্মহোলের মতো প্যারাডক্সেরও জন্ম দেয় না। তবে ভাবনাটি পুরাপুরি বাস্তবসম্মত নয়। এবং খুব ভয়ংকর। তার ওপর এভাবে খুব বেশি দূর ভবিষ্যতে যাওয়াও যাবে না। তবে খুশির খবর হলো, উপায় আছে আরেকটিও। এর জন্য চলতে হবে অনেক অনেক বেশি বেগে। আমরা জানি, মহাবিশ্বে গতির একটি সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত আছে। এটি হলো সেকেন্ডে ১৮৬০০০ মাইল, যার অপর নাম আলোর বেগ। কোনো কিছুর বেগ এর চেয়ে বেশি হতে পারে না। বিশ্বাস করুন আর না-ই করুন, এই বেগের কাছাকাছি বেগে চলতে পারলে আপনি চলে যাবেন ভবিষ্যতে।

    মনে করুন, পৃথিবীকে বেষ্টন করে গোল করে একটি রেলপথ তৈরি করা আছে। এর ওপর দিয়ে একটি দ্রুতগামী ট্রেন চলতে শুরু করল। বেগ আলোর বেগের খুব কাছাকাছি। ট্রেনটি একের পর এক চক্কর খেতে থাকবে পৃথিবীকে ঘিরে। প্রায় সাতবার প্রতি সেকেন্ডে। এবার ট্রেনের ভেতরে অদ্ভুত কাণ্ড ঘটতে শুরু করবে। বাইরের জগতের তুলনায় সময় প্রবাহিত হবে ধীরে। যেমনটা ঘটেছিল কৃষ্ণগহ্বরের কাছে। তবে ট্রেনের বেগ বাড়িয়ে আলোর বেগের ওপরে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কেউ একজন ট্রেনের ভেতরে দৌড়ানো শুরু করলে মিলিত বেগ কি কোনোভাবেই আলোর বেগের চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভব নয়? না। কারণ প্রকৃতির সূত্রমতে, সময় এমনভাবে ধীর হয়ে যাবে যে বেগ আলোর বেগের নিচেই থাকবে।

    ধরুন, ২০৫০ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে ট্রেনটি ছেড়ে গেল। ১০০ বছর পরে, ২১৫০ সালের একই তারিখে শেষ হলো যাত্রা। কিন্তু ভেতরের যাত্রীদের সময় অতিবাহিত হবে মাত্র এক সপ্তাহ। তাদের সময় এতটাই ধীরে চলেছিল যে এক সপ্তাহেই বাইরের জগতে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল। তার মানে, তারা চলে এসেছেন ভবিষ্যতের পৃথিবীতে। হ্যাঁ, এমন ট্রেন বানানো প্রায় অসম্ভব। তবে ইউরোপীয় গবেষণা সংস্থা সার্নে (CERN) কিন্তু এ ধরনের জিনিস আছে।

    এখানে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কণা ত্বরকযন্ত্র। অবস্থান সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরের মাটির গভীরে। রয়েছে ১৬ মাইল লম্বা একটি বৃত্তাকার সুড়ঙ্গ। ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা ছুটে চলে এই সুড়ঙ্গ ধরে। সেকেন্ডের ভগ্নাংশ সময়ের মধ্যে এদের বেগ শূন্য থেকে ঘণ্টায় ৬০ হাজার মাইলে উঠে যায়। আরও শক্তি দিলে এ বেগ এত বাড়ে যে কণিকাগুলো প্রতি সেকেন্ডে সুড়ঙ্গকে ১১ হাজার বার চক্কর খায়, যা আলোর বেগের খুব কাছাকাছি।

    এভাবে এরা আলোর ৯৯.৯৯ ভাগ পর্যন্ত বেগ অর্জন করতে পারে। এ সময় এরা শুধু স্থান ভেদ করেই চলে না। চলে সময় ভেদ করেও। আমরা সেটা কীভাবে জানলাম? পাই-মেসন নামে একধরনের কণা আছে। এমনিতে এরা এক সেকেন্ডের আড়াই হাজার কোটি সেকেন্ডের এক ভাগ সময়ের মধ্যে ভেঙে যায়। কিন্তু বেগ আলোর কাছাকাছি হলে এরা ভাঙতে সময় নেয় ৩০ গুণ বেশি সময়।

    এ তো গেল কণিকাদের সময় ভ্রমণ। আমরা মানুষেরা তা কীভাবে করব? আমার মনে হয়, মহাকাশে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। সবচেয়ে দ্রুতগামী মনুষ্যবাহী যানের নাম অ্যাপোলো ১০। বেগ ছিল ঘণ্টায় ২৫ হাজার মাইল। কিন্তু সময় ভ্রমণের জন্য আরও ২ হাজার গুণেরও বেশি জোরে ছুটতে হবে। আলোর বেগের কাছাকাছি যেতে এর সময় লাগবে ছয় বছর। এক সপ্তাহের ভেতর এটি সৌরজগতের বহিস্থ গ্রহগুলো পার হয়ে যাবে।

    দুই বছরের মাথায় সৌরজগৎ পার হবে। আরও দুই বছর পরে বেগ হবে আলোর ৯০ ভাগ। পৃথিবী থেকে ৩০ লক্ষ কোটি দূরে। সময় ভ্রমণও শুরু হয়ে যাবে এই সময়। পৃথিবীর দুই ঘণ্টায় যানে এক ঘণ্টা। যেমনটা হয়েছিল কৃষ্ণগহ্বরগামী যানের ক্ষেত্রে। আলোর ৯৯ ভাগ বেগ অর্জন করতে আর ২ বছর দরকার। এ অবস্থায় যানের এক দিনে পৃথিবীতে এক বছর হয়ে যাবে। এবার সত্যিই ভবিষ্যতে চলে যাওয়া গেল।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    এগিয়েছে কতদূর? চতুর্থ চতুর্থ মাত্রায় ভ্রমণ নিয়ে, প্রযুক্তি বিজ্ঞান ভ্রমণ মাত্রায়
    Related Posts
    ধূমকেতু

    রিইউনিয়ন দ্বীপের আকাশে একসাথে ধরা পড়ল দুটি ধূমকেতু

    October 1, 2025
    গাড়ি

    এই গাড়ি চার্জ ছাড়াই চলবে ৭ মাস, নেই কোন খরচ

    October 1, 2025
    VPN নিষিদ্ধ

    যুক্তরাষ্ট্রে VPN নিষেধাজ্ঞা: সম্ভাব্য পরিণতি

    September 30, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Tyreek Hill injury

    Tyreek Hill Suffers Season-Ending Knee Injury, Vows to Return

    চাল

    ঘরে বসেই চাল আসল না নকল যাচাই করুন

    মির্জা আব্বাস

    এই দেশকে আমরা স্বাধীন করেছি, ইনশাআল্লাহ স্বাধীন রাখবো : মির্জা আব্বাস

    লিভারপুল

    চ্যাম্পিয়নস লিগে তুরস্কের দলের কাছে ১-০ গোলে হারল লিভারপুল

    প্রেসারকুকার

    যে ৫ খাবার প্রেসারকুকারে রান্না না করাই ভালো

    হাস্যকর প্রতীক

    ‘এনসিপিকে উটপাখি-কাপ-পিরিচ, থালাবাটির মতো হাস্যকর প্রতীক দিতে চায় নির্বাচন কমিশন’

    ডায়াবেটিস

    ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে লম্বা সময় না খেয়ে থাকা কি নিরাপদ?

    who is jordan chiles

    Who Is Jordan Chiles? Olympic Gymnast Making Headlines Again

    ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি

    চাকরির সুযোগ দিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি

    VIDEO: Dylan Efron & Daniella Karagach

    VIDEO: Dylan Efron & Daniella Karagach Foxtrot on ‘Dancing With the Stars’ TikTok Night Stuns Judges

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.