জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনের নামে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে মারধরের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
গত মঙ্গলবার প্রক্টর বরাবর দেয়া অভিযোগপত্রে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন ওই সাংবাদিক।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আমি সোয়াদ সাদমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের একজন ছাত্র। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জুম বাংলা’-এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছি। সোমবার জুম বাংলায় ‘চবির ৫ম সমাবর্তন ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা, সহকারী প্রক্টরকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরদ্ধে’ শিরোনামে আমার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদনকে ঘিরে চবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় আমাকে অকথ্য গালাগালি করে ও মারধরের হুমকি দেয় যা আমার কাছে প্রমাণ হিসেবে অডিও রেকর্ড আছে। আমি শঙ্কিত, আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তাকে আমি মারধরের হুমকি দিয়েছি এটা মিথ্যা। আমি তাকে চিনি পর্যন্ত না। এ বিষয় নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো। কেউ একজন এটা রেকর্ড করেছে। তবে এটা কাটছাঁট করেছে। আমাদের নিজেদের কোনো একজনই ওই সাংবাদিককে দিয়ে নিউজটি করিয়েছে। আমি জুনিয়র হয়ে দলের বড় একটা পদে আছি। এটা অনেকে মানতে পারছে না। তাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। তিনি বলেন, ঘটনার দিন সহকারী প্রক্টর স্যারের সঙ্গে আমাদের কিছুটা কথা-কাটাকাটি হয়। ক্যাম্পাসে আমাকে বাইক নিতে বাধা কেন দিবেন, আমি এগুলো জিজ্ঞাসা করেছি। আর তেমন কিছুই না।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, ঘটনা জানার পর আমার দায়িত্ব সংবাদ প্রকাশ করা। কিন’ এজন্য সাজ্জাদ হোসেন আমাকে অকথ্য গালিগালাজ করেছে। মা তুলেও গালিগালাজ করেছে, এটার রেকর্ড আমার কাছে আছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। তবে অফিস টাইম শেষ হওয়ায় প্রক্টর অফিস এটা আনঅফিসিয়ালি গ্রহণ করেছে।
সহকারী প্রক্টর বজলুর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসে বহিরাগত কোনো বাইক পাওয়া গেলে আমরা আটক করি। বাহিরের বাইকগুলো আমরা স্বাভাবিকভাবে বের করে দিই। বাইকটা সাজ্জাদের না। বাইকের নম্বর আমার কাছে আছে। আমি ডিপার্টমেন্টে জিজ্ঞাসা করার পর বলি আগামীকাল থেকে এখানে বাইক রাখা যাবে না। তখন সে বলে আমরা ছাত্র কেন বাইক রাখতে পারবো না? তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম তুমি কে? তখন বললো আমি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। আমি বললাম তুমি সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছো তো কি হয়েছে? তুমি এভাবে কথা বলছো কেন আমার সঙ্গে! তখন বলে কীভাবে কথা বলবো? তিনি বলেন, বাইকটা যার সে কিন’ নমনীয় ছিল। আমি তাকে বললাম বাইক যেহেতু তোমার না বাইকটা আমরা আটক রাখি। তুমি কাল প্রক্টর স্যারের সঙ্গে কথা বলে বাইকটা নিয়ে যেও। এটা বলার পর সে আমার সঙ্গে আরও উচ্চবাচ্চ শুরু করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।