কনভালসেন্টস প্লাজমা থেরাপি শত বছরের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি। ১৯১৮ সালে ঘটে যাওয়া স্প্যানিশ ফ্লু এবং ১৯৩০ সালের হামের মহামারিতে কনভালসেন্ট রক্তরসের প্রয়োগে সাফল্য পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৩ সালের সার্স-কভিড, ২০০৯ সালের ইনফ্লুয়েনজা, সর্বশেষ ২০১৪ সালের ইবোলা মহামারিতেও কনভালসেন্ট রক্তরস প্রয়োগে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। আর এবার করোনার মহামারিতেও এই থেরাপি কাজে দিচ্ছে। বলা হচ্ছে, ইরানে মৃতের হার ৪০ শতাংশ কমেছে এই শত বছরের পুরনো চিকিৎসায়।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর ব্যক্তির শরীরের রক্তরস নিয়ে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে সেই রক্তরস প্রয়োগ করা হয়। আর এটিই হলো কনভালসেন্টস প্লাজমা থেরাপি। ইরানের প্লাজমা থেরাপি প্রকল্পের নেতৃত্ব দেওয়া ডা. হাসান আবোল কাসেমি বলেন, আজ থেকে ৪০ দিন আগে আমরা প্লাজমা থেরাপি শুরু করেছিলাম। এখন পর্যন্ত তিনশ ব্যক্তি প্লাজমা দান করেছেন। এই রক্তরস করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমেছে।
আজ মঙ্গলবার তিনি বলেন, করোনা এই মহামারি যখন শুরু হয়েছিল, এটিকে মোকাবেলা করার জন্য তখন আমরা কেউই প্রস্তুত ছিলাম না। কিন্তু চিকিত্সা কর্মীদের অগ্রাধিকার হচ্ছে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জীবন বাঁচানো। তিনি জানান, চিকিত্সা কর্মীরাই এই পদ্ধতিটি প্রয়োগ করেছেন।
তার মতে, সার্স, মার্স-কভ এবং ইবোলা জাতীয় অন্যান্য রোগের চিকিত্সার ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপি কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এ বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করেনি।
হাসান আবোল কাসেমি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের তিন সপ্তাহ পরে প্লাজমা থেরাপি নিয়ে কাজ শুরু করে। পরে ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস ও আরো কিছু ইউরোপীয় দেশ কাজ শুরু করে। তারা আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে।
করোনা চীনের পর সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালায় ইরানে। দেশটির ৭৩ হাজার তিনশ তিন জন মানুষের শরীরে পাওয়া যায় করোনার উপস্থিতি। এর মধ্যে চার হাজার পাঁচশ ৮৫ জন মারা যান। আর সুস্থ হয়েছেন ৪৫ হাজার নয়শ ৮৩ জন।
সূত্র: তেহেরান টাইমস।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।