বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্রের ক্ষতির অংক ছাড়িয়েছে এক’শ কোটিতে। সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন বলছেন, চলতি বছরে নানা কারণে আলোচনায় ছিল ৩০ এর বেশি সিনেমা। তবে একটি সিনেমাও ব্যবসায়িক সাফল্য পায়নি। তাই চলতি বছরে চলচ্চিত্রের ক্ষতির অংকটা ছাড়িয়েছে এক’শ কোটি টাকা।
ঢাকাই সিনেমার আরও একটি হতাশার বছর কাটলো। ৫২ সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া ৫৬ টি সিনেমার প্রায় সবগুলো ব্যর্থ হয়েছে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে। বিশের অধিক নায়ক-নায়িকার অভিষেক হলেও আলোচনায় ছিল কেবল একজন।
২০১৯ সালে সিনেমায় নির্মাতা হিসেবে অভিষেক হয় ৭ জনের। তারা কেউই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। পাশাপাশি ঢাকার অভিজাত দুই হলসহ ২০১৯-এ বন্ধ হয়েছে ১০টিরও বেশি প্রেক্ষাগৃহ। সবকিছু মিলিয়ে চলতি বছর ঢাকাই সিনেমা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে পার করলো।
বছর জুড়ে যদিও রঙিন ছিলো সেলুলয়েডের রূপালী পর্দা তবে শূণ্য ছিলো প্রেক্ষাগৃহের আসনগুলো। এ বছর সাফটা চুক্তির আওতায় প্রেক্ষাগৃহে আলোর মুখ দেখেছে কলকাতার ১০টি সিনেমা। ২টি যৌথ প্রযোজনা ১টি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আর ৪৩টি দেশের। সবমিলিয়ে ৫৬টি সিনেমার মধ্যে ব্যবসা করেছে একটি সিনেমা।
লগ্নি করা অর্থ উঠে না এলেও প্রসংশিত হয়েছে আবার বসন্ত, আব্বাস, মায়াবতী, ফাগুন হাওয়া, যদি একদিন, নোলক, আর ন ডরাই সিনেমা। তবে শাকিব খান অভিনীত ‘পাসওয়ার্ড’ সিনেমাটি সাফল্য পেয়েছে।
অন্যদিকে প্রত্যাশা জাগালেও অবতার, মনের মতো মানুষ পাইলাম না, বয়ফ্রেন্ড, লিডার, অন্ধকার জগত, সাপলুডু, প্রেম চোর সিনেমাগুলো দর্শকদের আগ্রহ তৈরি করতে পারেনি। নির্মাতাদের অভিযোগ, শিল্পীরা প্রচারণায় অংশ না নেয়ায় ব্যর্থতার খাতায় গিয়েছে অনেক সিনেমার নাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



