আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২৪ এ ইলেক্টোরাল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৬২ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকানের ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর ডেমোক্র্যাটের কমালা হ্যারিস পেয়েছেন ৮১ ভোট।
প্রেসিডেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ২৭০টি বা তার বেশি ভোট পেতে হবে। সেইসাথে, দু’জন প্রার্থীকেই অন্তত তিনটি সুইং স্টেট জিততে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি রাজ্য আছে। বেশিরভাগ রাজ্যই প্রতি নির্বাচনে একই রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে। তবে, কিছু রাজ্য যেগুলোকে সুইং স্টেট বলে, সেখানে নির্দিষ্ট কোন দলের প্রতি আনুগত্য থাকে না – যেকোনও দলের প্রার্থী জিততে পারেন।
এই রাজ্যগুলো হচ্ছে – নেভাদা, আরিজোনা, নর্থ ক্যারোলাইনা, জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান এবং পেনসিলভানিয়া।
নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বড় রাজ্যগুলোর জয় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এগুলোতে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট বেশি থাকে।
ফ্লোরিডাতে জয়ের পথে ট্রাম্প
ফ্লোরিডা এখন আর ‘প্রেসিডেন্সিয়াল ব্যাটলগ্রাউন্ড’ মানে জয়-পরাজয় নির্ধারক রাজ্য নয়। সর্বশেষ ২৪ বছর আগে ফ্লোরিডার কয়েকশো ভোট প্রতিপক্ষের সাথে ব্যবধান গড়ে দিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশকে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছিলো।
এ পর্যন্ত রাজ্যের ৭৩ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে, আর তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পই এ রাজ্যটি জয় করতে যাচ্ছেন। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। তবে, এটি ডেমোক্র্যাটদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচনগুলোতে রিপাবলিকানরা ফ্লোরিডায় বরাবরই ভালো ফল করেছে।
সর্বশেষ ২০১৮ এবং ২০২২ নির্বাচনেও রিপাবলিকানরা এই রাজ্যে জিতেছিল।
ফ্লোরিডা এখন একটি রেড স্টেট, মানে রিপাবলিকানদের প্রতীক যে লাল মানচিত্রে সে রঙ এ দেখানো হচ্ছে রাজ্যটিকে।
সাউথ ক্যারোলাইনাতে জয়ের পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প সাউথ ক্যারোলাইনাতে জয় পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অবশ্য এটি প্রত্যাশিত ছিল। কারণ ঐতিহাসিকভাবেই সেখানে রিপাবলিকানরা জিতে আসছে।
সাউথ ক্যারোলাইনাকে পালমেটো স্টেট বলা হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি মূল ব্রিটিশ উপনিবেশের একটি। এই রাজ্য সাধারণত রিপাবলিকান পার্টিকেই সমর্থন করে।
এর আগে শুধুমাত্র ১৯৭৬ সালে ডেমোক্র্যাট জিমি কার্টারকে সমর্থন করেছিলো এই রাজ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।