বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক: বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ চলছে। অত্যন্ত বিরল এক একসূর্যগ্রহণ। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাইব্রিড’ সূর্যগ্রহণ। যা ১০০ বছরে একবারই দেখা যায়। এ সূর্যগ্রহণ পূর্ণগ্রাসও নয়, আবার আংশিক সূর্যগ্রহণও নয়। এ দুইয়েরই মিশ্রণ। সূর্য, চাঁদ ও পৃথিবী একই সরলরেখায় চলে এলে চাঁদ যদি সূর্যের আলো পৃথিবীতে পৌঁছতে বাধা দেয় তখনই সূর্যগ্রহণ হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে চাঁদ সূর্যকে পুরোপুরি আড়াল করতে পারে না। তাই গ্রহণ পূর্ণ মাত্রায় পৌঁছনোর পর সূর্যের মাঝখানে অন্ধকার থাকলেও চারপাশে সূর্যের আলো উঁকি দেয়।
বাংলাদেশ সময়ে ভোর ৮টা বেজে ৪ মিনিট থেকে শুরু হয়েছে গ্রহণ তার সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছবে ৪টা ৫৯ মিনিটে। গ্রহণ চলবে ৭টা ২ মিনিট পর্যন্ত। সব মিলিয়ে প্রায় ঘণ্টাতিনেক গ্রহণ চললেও সূর্যের অধিকাংশ অংশ ঢাকা পড়ার বিষয়টির স্থায়িত্ব হবে এক মিনিটেরও কম সময়।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত মহাসাগর, প্রশান্ত মহাসাগর, অ্যান্টার্কটিকা থেকে গ্রহণের বিভিন্ন মুহূর্ত দেখা যাবে। তবে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলের এক্সমাউথ থেকেই একমাত্র সম্পূর্ণ গ্রহণ দেখা যাবে। কিন্তু এই বিরল দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন বাংলাদেশীরা। এদেশের কোনও প্রান্ত থেকেই গ্রহণের কোনও মুহূর্ত দৃশ্যমান হবে না।
২০২৩ সালে মোট চারটি গ্রহণ হবে, যার মধ্যে দুটি চন্দ্রগ্রহণ এবং দুটি সূর্যগ্রহণ। ১৮ মাস পরপর একটি করে সূর্যের পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয়। এ সময় সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেয় চাঁদ। সূর্যের নানারকমের গ্রহণ হয়। কখনো আংশিক ঢাকা পড়ে সূর্য। কখনো পুরোপুরি ঢাকা পড়ে যায় সূর্য। আবার কখনো বলয়গ্রাস হয়, যা পরিচিত ‘রিং অফ ফায়ার’। আর যদি তিন রকমই গ্রহণ একসঙ্গে ঘটে, তখন তাকে বলে হাইব্রিড গ্রহণ।
দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে ১৪ অক্টোবর। ২০২৩ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ৫ মে। এবং দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি ২৮ অক্টোবর দৃশ্যমান হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।