ইসলামী আলোচক মিজানুর রহমান আজহারী উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিতব্য চলতি বছর সব তাফসির মাহফিল স্থগিত করেছেন।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
মূল পোস্টে তিনি লেখেন, ‘উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিত আমার এ বছরের বিভাগীয় সকল তাফসির মাহফিল স্থগিত ঘোষণা করা হলো।’
এরপর ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে আজহারী লেখেন, গত বছর দেশব্যাপী আটটি বিভাগে তাফসিরুল কুরআন মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রতিটি প্রোগ্রাম বেশ শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। পবিত্র কুরআনের দুর্বার আকর্ষণে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসা জনতার উপচে-পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশংসা করে তিনি বলেন, লাখো মানুষের এসব জমায়েত সামাল দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী মাঠপর্যায়ে যে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন, তা সত্যিকার অর্থেই প্রশংসার দাবিদার।
তিনি লেখেন, বর্তমানে সারাদেশে নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি আমেজ তৈরি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাষ্যমতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। নানা কারণে আসন্ন নির্বাচন আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ইতোমধ্যে প্রায় সব রাজনৈতিক দল খুব জোরেশোরে তাদের সভা-সমাবেশ ও প্রচারণা কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে তাদের মহা সমাবেশগুলো অনুষ্ঠিত হবে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে এসব মহা সমাবেশগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে বলে মনে করছেন তিনি।
আজহারী বলেন, এমতাবস্থায়, আমাদের পক্ষ থেকে নতুন কোনো প্রোগ্রামের আয়োজন তাদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা ছাড়া একেকটা তাফসির মাহফিলের বিশাল জনস্রোত সামলানো মুশকিলের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। জাতীয় স্বার্থে নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে আমাকে ঘিরে এ-ধরনের বড় তাফসির প্রোগ্রাম আয়োজন যুক্তিযুক্ত হবে বলে মনে করছি না।
স্থিতিশীল পরিবেশে তাফসিরুল কুরআনের মাহফিল করার আশ্বাস দিয়ে তিনি লিখেন, তাই, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়— উন্মুক্ত মাঠে অনুষ্ঠিত আমার এ বছরের বিভাগীয় সকল তাফসির মাহফিল স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচন-পরবর্তী স্থিতিশীল পরিবেশে তাফসিরুল কুরআনের ঐতিহাসিক প্রোগ্রামগুলোতে আমরা আবারও মিলিত হবো ইনশাআল্লাহ।
নিজের গড়া ফাউন্ডেশনের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, আর ইতোমধ্যে অনেকেই হয়তো ‘হাসানাহ ফাউন্ডেশন’-এর কার্যক্রম সম্পর্কে জেনেছেন। শিক্ষাখাতে জাতীয় পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে এ বছরই যাত্রা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান হিসেবে সদ্য গড়ে তোলা ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমে অধিক সম্পৃক্ত হওয়া এ মুহূর্তে অপরিহার্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই, বর্তমানে ফাউন্ডেশনের কাজেই পুরোপুরি আত্মনিয়োগ করতে হচ্ছে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। হাসানাহ ফাউন্ডেশন-এর জন্য সকলের আন্তরিক দোআ প্রত্যাশা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



