জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবীণ নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কারণেই অভিযানগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছিল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার যে কঠোর অবস্থানে আছে, এগুলো সেটির বহিঃপ্রকাশ। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ যেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাবে, সেখানেই অভিযান চালানো হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, অভিযান চলছে অনিয়মের বিরুদ্ধে। আপনারা বরং চলমান অভিযানের জন্য সরকারকে অভিনন্দন জানান ও নিজেদের অপকর্মের জন্য ক্ষমা চান।’
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সিনিয়র সিটিজেন সোসাইটি, চট্টগ্রাম নামে একটি সংগঠন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ছয়জন প্রবীণ নাগরিককে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির আমলেই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে। তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে সেখান থেকেই সব নিয়ন্ত্রণ করা হতো। সব কাজের ১০ শতাংশ কমিশন হাওয়া ভবনে দিতে হতো। খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন। সিঙ্গাপুরে কোকোর দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। দুর্নীতির দায়ে তারেক রহমানের ১০ বছর সাজা হয়েছে। এতিমের টাকা মেরে দেওয়ায় খালেদা জিয়া নিজেও সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। যে দলের নেতানেত্রীরা ক্ষমতায় থাকার সময় দেশকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করেছেন, তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার রাখেন না।’
বেসরকারি খাতে পেনশন
সরকারি খাতের মতো বেসরকারি খাতেও পেনশন চালু করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে সর্বক্ষেত্রে পেনশন চালু করা। এখন তো শুধু সরকারি ক্ষেত্রে পেনশন চালু আছে। সব ক্ষেত্রে পেনশন চালু নেই। কিন্তু ইউরোপের যে দেশগুলো সামাজিক কল্যাণমূলক দেশ, সেখানে সব ক্ষেত্রে পেনশন চালু আছে। বেসরকারি উদ্যোক্তাকেও তার কর্মীর জন্য টাকা দিতে হয়। অর্থাৎ সব মানুষ পেনশন স্কিমের আওতায়। ৬৫ বছরের বেশি নাগরিকরা যাতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পান, সেই লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ অতিথি আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘প্রবীণদের শ্রদ্ধা সম্মান ভালোবাসা প্রদর্শন করা বাঙালির চিরকালীন বাধ্যবাধকতা ছিল। নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে তা অনেকটাই পরাহত। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমাদের সামাজিক বন্ধন। এই বন্ধন পুনরুদ্ধারে আমাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। সিনিয়র সিটিজেনসদের কল্যাণ ও উন্নয়নে সবাইকে সার্বিকভাবে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এএএম জিয়া হোসাইন, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উপদেষ্টা পরিষদ চেয়ারম্যান ড প্রণব বড়ুয়া, আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক ও কবি অরুণ দাশগুপ্ত, উদীচী চট্টগ্রাম সভাপতি বেগম মুশতারী শফিকে নাগরিক সম্মাননা দেওয়া হয়। বাংলাট্রিব্রিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।