জুমবাংলা ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আর তিনজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে পূর্ণিমা রাতে পদ্মা সেতুতে ঘুরতে চান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন ইচ্ছার কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, হাজি সেলিমকে প্যারোলে মুক্তি দিতে পারেন কিন্তু খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু দেখতে যেতে দিতে পারেন না। কাজটা করলে আপনাদেরই বেশ লাভ হতো। এখনো সময় আছে, এক পূর্ণিমা রাতে চলুন যাই পদ্মা সেতু দেখতে। আপনার গাড়ি সামনে, পেছনে খালেদা জিয়ার গাড়ি। তার পেছনে তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা দাঁড়িয়ে থাকবেন। গাড়ি চালিয়ে আস্তে আস্তে যাব।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পদ্মা সেতু থেকে খালেদাকে টুস করে ফেলে দেব। কিন্তু আমার ভালো লেগেছে খালেদা জিয়া বলেছিলেন তিনি পড়ার সময় তাকে (শেখ হাসিনা) নিয়ে পড়বেন।’
‘নাগরিক সমাজের উদ্বেগ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে গণমতামত কেন্দ্র।
আগামী অর্থবছরের বাজেটে কৃষক শ্রমিকদের কথা উল্লেখ নেই মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘বাজেট বুঝতে হলে আপনাকে ১৩শ পৃষ্ঠা পড়তে হবে। কয়জন বই পড়ছে জানি না, এমপি সাহেবেরা কী করছে জানি না। আমাদের বাজেট হচ্ছে চাণক্য পন্ডিতের চালাকি। খালি চারিদিকে প্যাঁচ আর প্যাঁচ।’
তিনি আরও বলেন, ‘জিনিসপত্রের যে দাম বেড়েছে ১০ তারিখ কি আমরা ঈদ করতে পারব? কিছু লোক করবে কিন্তু বেশিরভাগ লোকের মুখে হাসি আসবে না। আমার বাচ্চাটার জন্য কাপড় কিনতে পারব না, সেমাই বানাতে পারব না, মাংস পাব না। এখন তো ভাগের মাংসও পাওয়া যায় না।’
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর, বাংলাদেশ এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।