জিয়োটিভির খবরে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ড. আবদুল কাদির খান। এরপর তিনি রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে সুস্থ হয়ে ১১ সেপ্টেম্বর ঘরে ফেরেন তিনি।
এক টুইট বার্তায় পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, ‘ড. আবদুল কাদির খানের মৃত্যুর খবর শুনে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। ১৯৮২ সাল থেকে তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় ও সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি জাতীয় রক্ষাকবচ পারমাণবিক প্রতিরোধ গড়তে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিলেন। তাঁর এ অবদানের কথা জাতি কখনো ভুলবে না।’
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ আহমদ জানান, ড. আবদুল কাদির খানের অন্তিম ইচ্ছা ছিল, তার জানাজা যেন ফয়সাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে তার মৃত্যুকে পাকিস্তানের জন্য বড় ধরনের ক্ষতি বলে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাত্তাক।
১৯৩৬ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভূপালে জন্মগ্রহণ করেন বিখ্যাত পরমাণুবিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খান। পরে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর পরিবারের সঙ্গে তিনি পাকিস্তানে চলে যান। বিশ্বের প্রথম মুসলিম দেশ পাকিস্তানে পরমাণু কর্মসূচির জনক হিসেবে আবদুল কাদির খান পাকিস্তানিদের কাছে জাতীয় বীর হিসেবে পরিচিত।
সূত্র : জিয়ো টিভি নিউজ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।