স্পোর্টস ডেস্ক : মোহাম্মদ হাফিজ প্রমাণ করলেন বয়স চল্লিশ ছোঁয়ার অপেক্ষায় থাকলেও তার ব্যাট এখনো সচল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি পেলেন। তিন ম্যাচের সিরিজে দুই ইনিংসে ১৭৬.১৩ স্ট্রাইক রেটে করলেন ১৫৫ রান। শেষ ম্যাচে দলের জয়ে তিনি ম্যাচসেরা। এই চল্লিশে সিরিজ সেরার পুরস্কারও উঠল হাফিজেরই হাতে।
ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট করার সুযোগ হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছিলেন ৩৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ছোট ফরম্যাটে ক্যারিয়ারসেরা অপরাজিত ৮৬ রান করেন হাফিজ।
তার আগের সেরাও অবশ্য ৮৬। তবে সেটা অপরাজিত ছিল না। আর টি-টোয়েন্টিতে হাফিজের এটি ১৩ ফিফটি। ৫২ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় সাজান এদিনের ইনিংসটি।
হাফিজ ছাড়াও অভিষিক্ত হায়দার আলি খেলেছেন ৫৪ রানের ইনিংস। এই দুইয়ের ব্যাটে ইংল্যান্ডকে ১৯১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সফরকারীরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান করে পাকিস্তান। ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৫ রানে জেতে দলটি। তাতে সিরিজ ১-১ এ ড্র করার সঙ্গে জয় দিয়ে সফর শেষ করার স্বাদ পায় অতিথি দল।
তিন ম্যাচের টেস্ট ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেওয়ার আগে হাফিজকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে অনেক। তার করোনা পরীক্ষা নিয়ে বেশ নাটক হয়। বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার একদিন পর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় করানো পরীক্ষায় নেগেটিভ হন তিনি।
কিন্তু বোর্ডকে না জানিয়ে নিজ ব্যবস্থাপনায় করানো পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে বোর্ডের রোষানলে পড়েন হাফিজ। ইংল্যান্ডে আসার পরও স্বাস্থ্য বিধি ভেঙে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।
টেস্ট থেকে আগেই অবসর নিয়েছেন। তাই সাদা পোশাকে ছিলেন না। অনেক জল ঘোলা করে ইংল্যান্ডে আসা হাফিজ টি-টোয়েন্টিতে কেমন করেন সেটি ছিল দেখার। তা ছাড়া এখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের কথা বলেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।