জুমবাংলা ডেস্ক: বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে সুপারির ভালো দাম পাওয়ায় খুশি বাগান মালিকরা। এই উপজেলার মাটি সুপারি উৎপাদনের উপযোগী। তাই বাগানের পাশাপাশি বাড়ির আঙিনায় ও আশেপাশে সুপারি গাছ রয়েছে। অনেকের সংসার এই সুপারির বিক্রির টাকা দিয়েই চলে বলে জানান স্থানীয়রা। চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে।
সাধারণত কার্তিক ও অগ্রহায়ন মাস হলো সুপারির মৌসুম। তবে এবছর সময়ের আগেই সুপারি পাওয়া যাচ্ছে। উপজেলা সদরের জনতার বাজার, হাইমচর বাজার, চর ভৈরবীর বাজার, কাটাখালী বাজারসহ স্থানীয় প্রতিটি বাজারেই সুপারির জমজমাট ব্যবসা চলছে।
বাগান মালিক সুশান্ত বলেন, আমার বাগান থেকে ২-৮ পণ এবং ১ কাহন সুপারি বিক্রি করতে পারি। এই সুপারি বিক্রি করেই আমার সংসার চলে। এবছর বাম্পার ফলন হওয়ায় ৮ কাহন সুপারি বিক্রি করতে পারি। বাজারে প্রতিপণ সুপারি প্রকারভেদে ১১০-১৫০ টাকা বিক্রি করছি।
সুপারির আরেকজন বাগান মালিক আব্দুল হাই বলেন, আমি প্রতিপণ সুপারি ১১০ টাকা দরে বিক্রি করি। গত বছররের তুলনায় এবছর দ্বিগুণ ফলন হয়েছে। আগামী দুইমাস পর্যন্ত সুপারি বিক্রি করতে পারবো। এতে আমি অনেক লাভবান হবো। আশা করছি আগামীতে আরো বেশি ফলন হবে।
সুপারি ব্যবসায়ী মনির বলেন, আমি গ্রামে ভেতরে বাড়ি বাড়ি থেকে সুপারি কিনে নিয়ে আসি। তারপর তা বাজারে বিক্রি করি। আমি যে সুপারি নিয়ে এসেছি সেগুলো ১২৫ টাকা পণ বিক্রি করছি। তবে বাজারে প্রকারভেদে সুপারি ৮০-১৫০ টাকা দরেও বিক্রি হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. দেলোয়ার হোসাইন মিন্টু বলেন, প্রতিটি বাড়িতে সুপারির চাষ হচ্ছে। আবার অনেকে আছে যারা বাগান করে সুপারির চাষ করছেন। কৃষক তার পতিত জমিতে সুপারির চাষ করেন। অনেকে চারা করেন। আবার সেই চারাকে আবার চাষ করেন। হাইমচর উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। এইসব বাগান থেকে ৮ হাজার ৮০০ টন সুপারি উৎপাদন হয়েছে।
সুস্বাদু ও আঠাবিহীন ভিয়েতনামি কাঁঠাল চাষে আড়াই বছরেই মিলছে ফলন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।