জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম পাওয়া গেলেও সাগরের ইলিশে চাঁদপুর মাছ ঘাট সরগরম। এতে করে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। বড় ট্রলার ও ট্রাকে করে সকাল থেকেই সাগরে আহরিত ইলিশ বড় স্টেশন মাছ ঘাটে আসতে শুরু করে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুরের বড়স্টেশন মাছ ঘাট বাজার ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। সাগরের অধিকাংশ ইলিশ ট্রলারে ও ট্রাকে করে হাতিয়া অঞ্চল থেকে আসছে।
চাঁদপুর মাছ ঘাটে ৫০টির অধিক আড়তের প্রত্যেকটিতে বড় সাইজের ইলিশ দেখা মিলছে। গত ৩/৪ বছর এমন সাইজের ইলিশ আমদানি হয়নি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বেশির ভাগ ১ কেজি থেকে দেড় কেজি সাইজের।
বিক্রেতা আবু সাইদ বলেন, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশের চাহিদাই সবচাইতে বেশি। কিন্তু যে পরিমাণ আমদানি হয়, তা চাহিদার তুলনা খুবই কম। জেলেরা যা পাচ্ছে, তার দামও খুব বেশি। ৭শ’ গ্রাম থেকে ১ কেজি স্থানীয় ইলিশ ১৫শ’ টাকা। সাগরের ৭শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, এক কেজির ওপরের সাইজের ইলিশ প্রতি কেজি ১৬শ’ টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ইলিশ গবেষক ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম পাওয়া সম্পর্কে বলেন, যেসব এলাকায় ইলিশ পাওয়ায় যায়, সেখানে ইলিশের প্রাপ্যতা হ্রাসের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যার অন্যতম কারণ হচ্ছে-নদীতে পানি প্রবাহ হ্রাস, সামগ্রীকভাবে দেশের বৃষ্টির পরিমাণ কম, নদীতে যে আবাসস্থল রয়েছে তাতে পরিবেশগত বিপর্যয় অনেকাংশই দায়ী। নদীর বিভিন্ন স্থানে ডুবচর জেগে উঠেছে। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে অবশ্যই স্থানীয় পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেরা ইলিশ পাবে।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যে তিন দেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি ব্রিটেন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।